সময়ের চিন্তাঃ নির্বাচনের ভোট কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনে র্যাব সদস্যরা সঙ্গে থাকবে বলে জানিয়েছে বাহিনীটির মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ । (১লা ফেব্রুয়ারী) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে তিনি এমনটি বলেন।
বেনজীর আহমেদ বলে, সুষ্ঠু পরিবেশেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পোলিং এজেন্টদের ভয় দেখালে আমাদের প্রয়োজন হলে আমাদের অফিসাররা গিয়ে তাদের নিরাপত্তা দেবে। এসময় ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানায় র্যাব ডিজি। এছাড়া কোন ধরণের অভিযোগ আসলে র্যাবের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়ারও আশ্বাস দেয় তিনি।
ঢাকার দুই সিটিতে ২ হাজার ৪৬৮টি ভোটকেন্দ্র ও ১৪ হাজার ৪৩৪টি ভোটকক্ষ রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ হাজার ৩১৮টি ভোটকেন্দ্র ও ৭ হাজার ৮৫৭টি ভোটকক্ষ এবং দক্ষিণ সিটিতে ১ হাজার ১৫০টি ভোটকেন্দ্র ও ৬ হাজার ৫৮৮টি ভোটকক্ষ রয়েছে।
ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ৯ দলের ১৩ মেয়র প্রার্থী ভোটযুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন। উত্তর সিটির ৬ মেয়র প্রার্থী হলেন—আওয়ামী লীগের মো.আতিকুল ইসলাম (নৌকা), বিএনপির তাবিথ আউয়াল (ধানের শীষ), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) আহম্মেদ সাজেদুল হক (কাস্তে), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেখ মো.ফজলে বারী মাসউদ (হাতপাখা), পিডিপির শাহীন খান (বাঘ) ও এনপিপির মো.আনিসুর রহমান দেওয়ান (আম)। এই সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ৫৪টি পদে ২৫১ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ১৮টি পদে ৭৭ জন লড়ছেন।
দক্ষিণে মেয়র পদে সাত প্রার্থী হলেন—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নুর তাপস (নৌকা), বিএনপির ইশরাক হোসেন (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টি—জাপার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের মো. আবদুর রহমান (হাতপাখা), এনপিপির বাহরানে সুলতান বাহার (আম), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আকতার উজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লা (ডাব) ও গণফ্রন্টের আব্দুস সামাদ সুজন (মাছ)। দক্ষিণ সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ৭৫টি পদে ৩২৭ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ২৫টি পদে ৮২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।