সময়ের চিন্তাঃ চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর গ্রামে সুমাইয়া খাতুন (৬) নামে এক শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে।
(১লা ফেব্রুয়ারি) শনিবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের পেছনের মাঠের সিম ক্ষেতের মাচার নিচ থেকে শিশুটির বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। (২ ফেব্রুয়ারী) রবিবার সকাল ৯ টার দিকে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রতিবেশী যুবক মোমিনুল ইসলাম (২০) কে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত সুমাইয়া খাতুন পারকৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দীনের মেয়ে এবং স্থানীয় পারকৃষ্ণপুর-মদনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণীর ছাত্রী।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, (১লা ফেব্রুয়ারি) শনিবার দুপুরে সুমাইয়া বাড়ি থেকে তার মায়ের খোঁজে পার্শ্ববর্তী মাঠে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয়। পরে সুমাইয়াকে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করে তাকে না পাওয়ায় দামুড়হুদা থানা পুলিশকে অবহিত করে তার পরিবারের সদস্যরা।
পরবর্তীতে রাতে স্থানীয়রা সুমাইয়ার বিবস্ত্র লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে দামুড়হুদা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত শিশু সুমাইয়ার বাবা নাসির উদ্দীন জানায়, নিখোঁজের পর থেকে সকল আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খুঁজেও সুমাইয়ার সন্ধান না পেয়ে রাতে পুলিশকে অবগত করা হয়।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস জানায়, ঘটনাটি জানার পর পরই পুলিশ সুমাইয়ার সন্ধানে কাজ শুরু করে। রাতেই স্থানীয়রা সুমাইয়ার বিবস্ত্র লাশ দেখে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে শিশুটিকে প্রথমে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রতিবেশী মোমিনুল ইসলাম কে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।