র‌্যাব-১১ এর অভিযানে ৬৫০ কেজি প্যাকেটজাত ভারতীয় মহিষের মাংস জব্দ

385

আশিকুজ্জামানঃ র‌্যাব-১১ এর অভিযানে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে ৬৫০ কেজি অনুমোদিত প্যাকেটজাত ভারতীয় মহিষের মাংস জব্দ। ভ্রাম্যমাণ আদালতে একজনের কারাদন্ড। র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র‌্যাব শুরু থেকে যে কোন ধরনের অপরাধ, প্রতারনা মূলক অপরাধ প্রতিরোধ এবং প্রতারক চক্রকে সনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। এর পাশাপাশি অননুমোদিত ও ভেজাল খাদ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ, নকল প্রসাধনী এবং অন্যান্য সামগ্রীর বিরুদ্ধে র‌্যাব সব সময় সোচ্চার। অননুমোদিত ও ভেজাল খাদ্য সংরক্ষণ এবং বাজারজাতকরণের সাথে সম্পৃক্তদের প্রায়শই র‌্যাবের নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দে দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন আদমজী বিহারী ক্যাম্প এলাকায় গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত র‌্যাব-১১ এর অভিযানে অননুমোদিত প্যাকেটজত ভারতীয় মহিষের মাংস বিক্রির দায়ে বিহারী ক্যাম্প থেকে ০১ জনকে হাতে নাতে গ্রেফতার করার সময় একটি কাভার্ড ভ্যানে রক্ষিত ১০ কেজির ২০টি, ১৮ কেজির ২২টি এবং ২০ কেজির ০৩ টি ধরনের প্যাকেটে আনুমানিক ৬৫০ কেজি মহিষের মাংস ও কাভার্ড ভ্যানটিও জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্যাকেটজাত মাংসগুলো পর্যালোচনা এবং স্থানীয় সাক্ষীদের জবানবন্দীতে জানা যায় যে, তারা সপ্তাহে ০৩ দিন ঢাকার তেজগাও হতে অননুমোদিত ভাবে প্যাকেটজাত মাংসগুলো নিয়ে এসে নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট ও স্থানীয় কশাই’র কাছে বিক্রি করে যা তারা হোটেল ও রেষ্টুরেন্ট ও সাধারণ লোকজনের কাছে গরুর মাংস বলে বিক্রি করে। হিমায়িত ও প্যাকেটজাত মাংসগুলো বিক্রির জন্য আইনানুযায়ী প্রাণিসম্পদ কর্তৃক কোয়ারান্টাইন সার্টিফিকেট থাকার প্রযোজন তা তাদের নেই। আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারেক ট্রেডার্স ও ইগলু এবং প্যাকেটের গায়ে তারেক ট্রেডার্স ও ইগলু লেখা থাকলেও উক্ত কোম্পানীর অনূকুলে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কোয়ারান্টাইন সার্টিফিকেট তারা দেখাতে পারেনি। হিমায়িত মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণের আইনানুযায়ী প্যাকেটজাত করা হতে ভোক্তার কাছে পৌঁছা পর্যন্ত যে ফ্রিজিং চেইন রাখার বিধান থাকলেও তা অমান্য করে তারা নন-ফ্রিজিং গাড়িতে নিয়ে আসে যার ফলে মাংসের গুনগতমান নষ্ট হয়ে যায় এবং এই মাংস জনস্বাস্থ্যের পক্ষে ব্যাপক ক্ষতিকর বলে প্রতীয়মান হয়। এই সমস্ত বিষয়গুলো আমলে নিয়ে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে অপরাধ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক কর্তৃক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৩ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে অভিযুক্ত মোঃ সামির’কে ০৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয় এবং তিনি জব্দকৃত মহিষের মাংস ধ্বংস করার নির্দেশ দেন।

অনুমোদিত ও ভেজাল খাদ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ এবং বাজারজাত করণের বিরুদ্ধে র‌্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে।