স্টাফ রিপোর্টারঃ সোনারগাঁয়ে র্যাব-১১’র অভিযানে এম. কে ফুডস্ ও এম.এম কনজুমার নামক ২টি কারখানা থেকে ৭ হাজার ৩০০ বোতল যৌন উত্তেজক শরবত, বিপুল পরিমাণ ভেজাল কয়েলসহ গ্রেপ্তার ১২ আসামির বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
(১২ ফেব্রুয়ারি) বুধবার সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডকৃতরা হলো-মো.সুমন মোল্লা(১৯), মো.রকিবুল ইসলাম(২২), মো.ফয়সাল আহম্মেদ(১৯), মো.রাজু বেপারী(২৪), মো.খায়রুল আলম(৪৭), মো.হাবু বেপারী(৫০), মো.রাকিব হোসাইন(২৪), মো. আব্দুর রহমান(২৭), মো.আশরাফুল ইসলাম (২৫), মো.তাহমীদ ইসলাম(২৩), মো.আনোয়ার হোসেন(২২) ও মো. রাশেদ গাজী(২৩)।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো.আসাদুজ্জামান রিমান্ড মঞ্জুরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানায়, আসামীদের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
এর আগে গত (৩০ জানুয়ারি) ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
গত (১০ ফেব্রুয়ারি) সোমবার র্যাব-১১’র সোনারগাঁয়ে অভিযানে এম. কে ফুডস্ ও এম.এম কনজুমার নামক ২টি কারখানা থেকে ৭ হাজার ৩০০ বোতল যৌন উত্তেজক শরবত, বিপুল পরিমাণ ভেজাল কয়েলসহ পণ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করে।
র্যাব-১১’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী এ সত্যতা নিশ্চিত করে জানায়, ওই কারখানা দুটি দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে অননুমোদিত যৌন উত্তেজক শরবত এবং ভেজাল কয়েল উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে।
এম.এম কনজুমার দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে জাম্বু, গাংচিল, ইগলু, ম্যাক্স, নাইট মাস্টার ইত্যাদি বিভিন্ন খ্যাতিসম্পন্ন ব্রান্ডের নামে কয়েল তৈরি ও প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করে আসছে।
তিনি আরও জানান, এম.কে ফুডস্ এর উৎপাদনকৃত যৌন উত্তেজক লায়ন ফুডস শরবতগুলো প্যারাসিটামল পাউডার, টেস্টি সল্ট, স্যাগারিন, এমপিএস, ব্যাফেন, এসএস পাউডার, সোডিয়াম পাউডার, সাইট্রিক এসিড, ঘাম, ঘন চিনি, সাধারণ চিনি, ফ্লেভার ও রংসহ মোট ১৬টি ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
এই অননুমোদিত ভেজাল কয়েল ও যৌন উত্তেজক শরবত উৎপাদন করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছে বলে গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।
এভাবে কারখানা দুটি অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে যৌন উত্তেজক শরবত এবং ভেজাল কয়েল উৎপাদন করে জনস্বাস্থ্যের ও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে আসছে।
তিতাস গ্যাস কোম্পানির টেকনিশিয়ানের প্রাক্কলনে দেখা যায় কারখানা দুটি দীর্ঘদিন ধরে প্রতি মাসে ৩০ লাখ ২৪ হাজার টাকার গ্যাস চুরি করে আসছে।