বঙ্গবন্ধুই নাম দিলেন গণস্বাস্হ্য কেন্দ্র

297

সময়ের চিন্তা ডট কমঃ বঙ্গবন্ধু তাকে ৩১ একর জমি সরকারিভাবে দিলেন একটি হাসপাতাল করার জন্য এবং বঙ্গবন্ধুই নাম দিলেন গণস্বাস্হ্য কেন্দ্র।

*একটা কথা আছে,কোন জাতিকে ধ্বংস করতে হলে সেই জাতির লাইব্রেরী গুলোকে ধ্বংস করে দিতে হয়
অথবা তার সূর্য সন্তানদেরকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে হয়।
*
এই প্রচেষ্টা পাকিস্তানিদের পর বিএনপি-জামাত প্রথম থেকেই করে আসছিল।
*জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শুরু করে এরশাদের আমল এবং সবশেষে খালেদা জিয়ার সময়কাল পর্যন্ত।
****
সবাই আমাদের সূর্যসন্তানদের প্রশ্নবিদ্ধ করার বা কিংকর্তব্যবিমূঢ় করার ক্রমাগত অপপ্রচেষ্টা করে এসেছে।
* অনেকেই তাদের ফাঁদে পা দিয়েছেন এবং আমাদেরকে লজ্জিত করেছেন।
*তাদের অনেক অনেক অর্জন ছোট হয়ে যায় যখন আমরা তাদেরকে স্বাধীনতা বিরোধীদের ছায়াতলে দেখি এবং তাদের গলায় সুর মিলাতে দেখি।
*
আমার মনে হয় আমি কি বলতে চাচ্ছি তা অনেকের কাছেই পরিষ্কার।
গত ১৫-২০ বছর ধরে ডক্টর জাফরুল্লাহর কর্মকান্ড গুলো তার প্রমাণ।
*এই দেশবরেণ্য মানুষটিকে বিতর্কিত হতে হয়েছে তারই কিছু কর্মকাণ্ডে যার সম্পূর্ণ দায়ভার তার উপরই বর্তায়। *একজন মুক্তিযোদ্ধা যখন বলেন যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করে দিতে, বঙ্গবন্ধুর খুনি কে ক্ষমা করতে বলেন – প্রজন্ম তখন দ্বিধান্বিত হয়।
*কিছুদিন আগেও সেনাপ্রধান কে নিয়ে কথা বলে ওনাকে ক্ষমা চাইতে হয়েছে।
*সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে নার্সদের নিয়ে কটুক্তি মূলক বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।
*বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি ভুগছেন বয়স ও স্বাস্থ্যজনিত জটিলতায়।
*ডঃ কামাল হোসেনের মতো তিনিও দেশের একজন বীর সন্তান এবং একইসাথে সমালোচিত।
*তবে ডঃ কামালের চেয়ে দেশের জন্য ডাক্তার জাফরুল্লাহর অবদান অনেক অনেক বেশি।

((ডাক্তার জাফরউল্লাহ্ এবং তাঁর বিতর্কিত টেস্টকীট চলবে))

আমার কাছে,,…
ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম পরিচয় তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

*বিলেতে এফআরসিএস পড়াকালীন সময়ে চূড়ান্ত পর্ব শেষ না করেই তিনি চলে এসেছিলেন দেশমাতৃকার টানে।
*যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে, তৈরি করেন ৪৮০ শয্যা বিশিষ্ট বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল যার কমান্ডিং অফিসার ছিলেন বীর প্রতীক ডাঃ সেতারা বেগম।
*লন্ডনে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মমতার প্রতিবাদে যে কজন বাঙ্গালী পাসপোর্ট ছিড়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন।
*তিনি এবং ডঃ এম এ মুবিন পাসপোর্ট ছিড়ে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর থেকে রাষ্ট্রবিহীন নাগরিকের প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে ভারতীয় ভিসা সংগ্রহ করে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
*সিরিয়ান প্লেন এ করে আসার সময় দামাস্কাসে ৫ ঘন্টা প্লেন লেট করে। সব যাত্রী নেমেছিল নামেননি ডাঃ জাফরুল্লাহ ও ডাঃ মুবিন। তাদের গ্রেফতার করার জন্য পাকিস্তানি একজন কর্নেল উপস্থিত ছিলেন এয়ারপোর্টে। তাদেরকে গ্রেফতার করা যায়নি কারণ তারা প্লেন থেকে নামেননি প্লেনের মধ্যে কাউকে গ্রেফতার করা যেত না।
*
শহীদ জননী জাহানারা ইমাম লিখেছেন তাকে নিয়ে। তাই এমন একজন মানুষকে জানাটা এই প্রজন্মের কর্তব্য।
*দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বসে থাকেননি এই মুক্তিযোদ্ধা গ্রামে ফিরে গিয়ে শুরু করেন স্বাস্থ্য যুদ্ধ।
*বঙ্গবন্ধু তাকে ৩১ একর জমি সরকারিভাবে দিলেন একটি হাসপাতাল করার জন্য এবং বঙ্গবন্ধুই নাম দিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
*মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রধান ছিলেন তিনি।
*আজকের স্বাস্থ্য খাতে এবং মেডিসিনে বাংলাদেশের উন্নতি এবং রফতানিতে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। *
*
বিরাশি সালের দিকে যুগান্তকারী ঔষধ নীতি প্রণয়ন ডক্টর জাফরুল্লাহর অবদান।
*
আজ 90 শতাংশ ওষুধ তৈরি হচ্ছে দেশে, বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে একটি ঔষধ রপ্তানিকারক দেশে এর পেছনের কারিগর কিন্তু ডক্টর জাফরুল্লাহ।
*শুধু তাই নয় বিলবোর্ড বাংলায় লেখা সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন উপজেলা ব্যবস্থা ও সফল জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি তারই অবদান।
*
ভূষিত হয়েছেন স্বাধীনতা পুরস্কারে, ফিলিপাইন থেকে রেমন ম্যাগসাইসাই, সুইডেন থেকে বিকল্প নোবেল হিসেবে পরিচিত রাইট লাভলিহুড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার্নেশনাল হেলথ হিরো, মানবতার সেবায় কানাডা থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট।
*হ্যাঁ তিনি এমনই একজন বিশ্ববরেণ্য মানুষ।