আমার কাছে আজ থেকে এটা একটা কসাইখানা-ভুক্তভোগী

371

সময়ের চিন্তা ডট কমঃ ডাক্তারের অবহেলার কারনে জীবন গেল একজনের। বিধবা হল স্ত্রী এতম হল ১২৩ বছরের সন্তান। এমন হাসপাতাল রেজিস্ট্রেশন পায় কি করে এ প্রশ্ন জনমনে? জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে বিচারের দাবী করেন। সিভিল সার্জেন ও ডিসির হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ভুক্তভুগীর ফেসবুক স্টাটাস নেচে দেয়া হল-

দেখে নিশ্চই বুঝতে পারছেন এটা একটা হাসপাতাল ? কিন্তু, আমার কাছে আজ থেকে এটা একটা কসাইখানা মনে হবে। বলছি, আমার বাড়ি থেকে মাত্র ৫ টাকা ভাড়ার দুরত্বে অবস্থিত এই সুবিশাল চাকচিক্য কসাইখানার কথা। অল্প কিছুদিন আগেও স্বপ্ন দেখিয়েছেন আমাদের এলাকায় এতো বড়ো একটা মেডিকেল কলেজ হতে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশী সুফল পাবো আমরা। কিন্তু, খুব অল্প সময়েই আজ সেই আশা গুড়ে বালি! ভুল চিকিৎসা,চিকিৎসায় অবহেলা, ডক্টর সংকট, চিকিৎসার ভুল রিপোর্ট, মরণঘাতী মাদক সহ র‍্যাবের হাতে ধরা খাওয়া ছাড়াও আরো অনেক অভিযোগ থাকার পর আজ আমার প্রায় সমবয়সী বন্ধুর মতো মামাকে নিয়ে ভোর ৪ টায় মামী যখন মেইন গেটে যেয়ে অনুরোধ করে বলে জরুরী ডক্টর দেখাবে, তখন সিকিউরিটি গার্ড গেট খুলে নি। বারবার অনুরোধ করে বলা হয়েছে এটা লিভার ডিজিসে আক্রান্ত, তবু সে করোনা রোগী সন্দেহে কর্তৃপক্ষের দোহাই দিয়ে গেট বন্ধই রাখলো। যদিও করোনার একটি মাত্র উপসর্গও ছিলো না। পরে বাধ্য হয়ে ঢাকা মেডিকেল যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক সব দেখে বলেছে, লিভার ডিজিস ছাড়াও পথে স্ট্রোক হতে পারে। আজ দুপুরে মামাকে দাফন করে যেয়ে সিকিউরিটিকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম, রাতে গেট খোলা নিষেধ কর্তৃপক্ষের। দাবী রইলো কর্তৃপক্ষ, যদি হাসপাতালের গেট রাতে খোলা নিষেধ থাকে তাহলে, ওপরের সাইনবোর্ডে হাসপাতালের জায়গায় ফার্মেসী লিখবেন। তবে কি, জীবন মানে মৃত্যু পথযাত্রী রোগী বাঁচার আশায় হাসপাতালের গেট থেকে ফিরে রাস্তায় মৃত্যু হওয়ার সময়টাকে বলে ? আমরা আজ কতটা অসহায় এমন কর্তৃপক্ষের নিয়ম নামের অনিয়মের কাছে! বিবেক কে প্রশ্ন করে দেখুন, সারা বিশ্বের ডক্টররা আজ করোনা যুদ্ধের বিপরীতে নিজেকে কেমন বিলিয়ে দিচ্ছে আর আপনারা তখন একটা স্বাভাবিক রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা টুকু দেয়া থেকে কিভাবে বিরত আছেন? তবু এটা নাকি হসপিটাল আর আপনারা নাকি ডক্টর! হয়তো মামার হায়াত নেই কিন্তু, আপনারা কি পারতেন না প্রাথমিক চিকিৎসা টুকু দিতে? তাহলে হয়তো রায়ের বাগ যেয়ে স্ট্রোক করতো না। হয়তো, আপনাদের নিষ্ঠুরতার কারনেই বিধবা হলো এক অল্পবয়সী নারী আর, পিতা হারা হলো ১২ বছরের এক নিষ্পাপ সন্তান ! আল্লাহ নিশ্চই এর জবাব চাইবেন,দিতে পারবেন তো?