রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ

558

নিজেস্ব সংবাদদাতাঃ নারায়ণগঞ্জ নিতাইগঞ্জে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদিরের বিরুদ্ধে। আব্দুল কাদির নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভির ঘনষ্ঠ জন বলে জানা যায়।

মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮ টার সময় নিতাইগঞ্জের ১৪/১৫ আর কে দাস রোড, আজমীর ট্রেডিং এর সামনে ঘটনাটি ঘটে। এ বিষয়ে আজমীর ট্রেডিংয়ের মালিক আব্দুর রহমান বলেন, আমি ২০০৪ সালে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে পজিশন খরিদ করি এবং সেটা জুডিশিয়াল স্টাম্পের মাধ্যমে তার কাছ থেকে দলিল করি এবং সে আমার কাছ থেকে নিয়মিত ভাড়া গ্রহণ করে। শুধু তাই নয় সে আমার থেকে ভাড়ার টাকা এডভান্সও নিয়ে যেত। সে দীর্ঘদিন আমার থেকে ভাড়া নেওয়ার পরেও লোভের বসবত হয়ে, হঠাৎ ২০১২ সালে আমার দোকানের ভাড়া নেওয়া বন্ধ করে দেয়। পরে আমি আইনের আশ্রয় নেই। তারপর থেকে আমার দোকানের ভাড়ার টাকা নিয়মিত আদালতের মামলার নিয়ম অনুযায়ী আইনিভাবে পরিশোধ করি। সে আমাদের দোকানের ডিট অনুযায়ী আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে আমিও তার বিরুদ্ধে আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করি। সে মামলায় আদালত আমার পক্ষে তিনটি রায় দেয়। মামলাটি উচ্চ আদালত হাইকোর্টে চলমান রয়েছে। সে হাইকোর্ট বায়লট করে, আদালতকে বিদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে সে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি ও জবর-দখল করার চেষ্টা অব্যাহত রাখে এবং তার দোকানের মালামাল নিয়ে আমার দোকানের সামনের অংশ অবৈধভাবে দখল করে রাখে।

আজকে যা ঘটছে সেটি হচ্ছে আমার দোকানের ম্যানেজার দোকান খুলতে গেলে তাকে বাধা দেয়। পরবর্তীতে ম্যানেজারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং দোকানের মালামাল ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও কাদির জানান। এমতঅবস্থায় আমার দোকানের ম্যানেজার তার কথার প্রতিবাদ জানালে তিনি বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে হুমকি প্রদান করে ম্যানেজারকে। তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর বোন জামাই ও নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ সভাপতি হওয়ার সুবাদে দলীয় প্রভব খাটিয়ে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে দোকান জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করছেন। তিনি আরও বলেন, আর একটি কথা না বললেই নয় , ২০০৪ সালে যখন আমার কাছে দোকানের পজিশন বিক্রি করেন। তখন আমাদের পাশের দোকান টি মোহাম্মদ শাজাহান মিয়ার কাছেও বিক্রি করেন। পরবর্তীতে শাহজাহান মিয়াকে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সেই দোকানটাও শাজাহান মিয়ার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় আব্দুল কাদির। এমতঅবস্থায় তিনি তার সে কৌশল ব্যবহার করে আমার দোকানটাও জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে আমি বার-বার থানায় অভিযোগ করেছি এবং ব্যবসায়ী মহলে নেতৃবৃন্দকে জানানোর পরেও তিনি তোয়াক্কা না করেই তিনি অবৈধভাবে দোকান দখলের পায়তারা লিপ্ত আছেন। এ বিষয়ে আজমীর ট্রেডিংয়ের সামনে মালামাল রাখা নিয়ে জানতে চাইলে সেখানে অবস্থানরত আব্দুল কাদিরের কর্মচারী মোঃ শাহিন সংবাদকর্মীকে জানান, তার মালিক আব্দুল কদিরের অর্ডার নিয়েই এখানে মালামাল রাখা হয়েছে। অবৈধভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের বিষয় জানতে চাইলে সংবাদকর্মীকে আব্দুল কাদির বলেন, আমার জায়গাতেই আমি মালামাল রেখেছি। আমি তারকাছে টাকা পাব। যুবলীগ নেতা ক্ষমতার অপব্যবহার করে  সংবাদকর্মীর কথা এড়িয়ে যান।

উল্লেখ্য, পজিশনের সামনে জায়গা পজিশন মালিক ব্যবহার করার নিয়ম থাকলেও আব্দুল কাদির তা অমাণ্য করে অন্যের দোকানের সামনে অবৈধভাবে দখলবাজী চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি কারও কথায় তোয়াক্কা করছেন না বলে ভুক্তভোগী জানায়।