করোনা সন্দেহে ছেলের লাশ নিতে বাবার অস্বীকৃতি,মর্গে ৪৩ দিন

607

ত্রিশাল সংবাদদাতা: ময়নসিংহের ত্রিশাল উপজেলার চরপাড়া গ্রামের আরাফাত (১৭) নামের এক কিশোরকে করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ২০ এপ্রিল তার বাবা ভর্তি করেন ময়মনসিংহ নগরীর এসকে (সূর্য্য কান্ত) হাসপাতালে। ভর্তির দুদিন পর ২২ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরাফাত হোসেন।

তবে করোনা সন্দেহের কারণে লাশ নেয়নি পরিবার। যদিও মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষায় আরাফাতের শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এরপরও ৪৩ দিন যাবত ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালের হিমঘরে পরে রয়েছে ওই কিশোরের লাশ। মারা যাওয়ার ৪২ দিন পর তার পিতা মজনু মিয়া লাশ নিতে লিখিতভাবে অনীহা জানায়।

জানা যায়, আরাফাত ত্রিশাল উপজেলার চরপাড়া এলাকার চড়ুইতলা গ্রামের মজনু মিয়ার সন্তান। গত ২০ এপ্রিল করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সে নগরীর এসকে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর দুই দিন পরই সে মারা যায়। মৃত্যুর পর তার শরীর থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হলে ফলাফলও নেগেটিভ আসে। এরপরও মৃত আরাফাতের মরদেহ তার পরিবার গ্রহণ না করায় মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।

মৃত্যুর ৪২ দিন পর বুধবার আরাফাতের বাবা কোতোয়ালী থানায় লিখিত ভাবে লাশ গ্রহণের অনিচ্ছার কথা জানান। পরিবার এবং এলাকাবাসীর নিরাপত্তার কথা ভেবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়।

ত্রিশাল থানা ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, মজনু মিয়া ত্রিশালের ঠিকানা ব্যবহার করলেও তার ছেলে থাকত ফুলবাড়িয়ার আছিম গ্রামে। পরে ত্রিশালের বিশিষ্ট্য সাংবাদিক আনম ফারুক লাশ গ্রহন করে ত্রিশালে পাঠান এবং ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ ও ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মেহেদী হাসান নাসিমের সহযোগিতা ও উপস্থিতিতে ৪ জুন বৃহস্পতিবার রাত ১১টার ত্রিশাল পশু হাসপাতালস্থ পৌর গোরস্থানে লাশ ধর্মীয় রীতিতে দাফন করা হয়।