চিহ্নিত প্রতারক গ্লোব মোঃ আলী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলায় গ্রেফতার

487

নিজস্ব প্রতিবেদক সময়ের চিন্তা ডট কম: চিহ্নিত প্রতারক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার কথিত সাংবাদিক ও মানবাধিকার নেতা পরিচয়দানকারী গ্লোব মোহাম্মদ আলী ৫৫ কে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

মঙ্গলবার( ৯ জুন) রাত ৮টার সময় দেওভোগ মাদ্রাসা এলাকার বাজার সংলগ্ন একটি ফ্লেক্সিলোডের দোকান থেকে তাকে দীর্ঘ ছয় মাস পর তাকে গ্রেফতার করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই খায়রুল ও এস আই শফিউলের নেতৃত্ব গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে গ্লোব মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্লোব মোহাম্মদ আলীকে বুধবার ১০জুন সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আসামীকে আদালতে প্রেরন করে।

গত ১৩ মার্চ বাদী সোয়েব ফকির (৪৫) মহামান্য সুপ্রীম কোট এর হাইকোট ডিভিশনে রিট পিটিশন দাখিল করলে মাননীয় বিচারপতি এনায়েত্বর রহিম এর দৈত বেঞ্চ নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাকে মামলা নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করিলে অত্র মামলা রুজু হয় যার নং (২৪-৩-২০২০) স্বাঃ( ১৬৫৬-৩-১)। বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন আমি এবং বন্ধু, নূরু সিকদার আসামীর ফেইজবুক আইডিতে আমাদের ৩জনের ছবি সহকারে বিশদগার তথ্য বিবর্জিত মিথ্যা ভিত্তিহীন নিউজ ফেইজবুকে বাইরাল করিয়া সামাজিক ভাবে হেওপ্রতিপন্ন করে এবং আমাদেরকে ভূমিদস্যু প্রতারণা আত্মসাৎকারী বলে মিথ্যা কাল্পনিক গাল গপ্ল সাজিয়ে অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে গ্লোব মোঃ আলী। যা বাদীর ব্যাবসায়িক এবং সামাজিক সুনাম নষ্ট করে। একজন ব্যাবসায়ীকে ভূমি দস্যু এবং সন্ত্রাসী বানানোর মিথ্যা অপচেষ্টা লিপ্ত তারা। যার পেক্ষিতে ৭জনের নাম উল্লেখ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। আসামী গ্লোব মোহাম্মদ আলী, আনিছুর রহমান, সানি হোসেন,সরদার সম্রাট শেক, হেলাল উদ্দিন, মামুন,রুস্তম আলী। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক নাগবারী মাদ্রাসা রোড বেপারী পাড়ায় বিভিন্ন সমাজের সচেতন মহলের সাথে আলাপ কালে জানা যায়,“মোঃ আলী এক সময় মশার গ্লোব তৈরি করত বলে তাকে মূলত গ্লোব মোহাম্মদ আলী হিসেবে সবাই চেনে। সে কবে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী হল তা আমাদের জানা নেই। তার তেমন কোন শিক্ষাগত যোগ্যতাও নেই। জানামতে তার স্ত্রী রয়েছে একাধিক। তার মধ্যে মধ্য দেওভোগ হারবাঙ্গা বাড়ির পেছনে আরেকজন দেওভোগ মাদ্রাসা এলাকায়। আনিছ মূলত তার ছেলে আর সানি তার ২য় স্ত্রীর আগের স্বামীর ঘরের সন্তান। তার ছেলের কোনো শিক্ষাগত সনদ আছে কিনা আমাদের জানা নেই। বিভিন্ন জনের কাছে শুনি তারা সবাই কথিত সাংবাদিক ও মানবাধিকারের আইডি কার্ড ব্যবহার করে। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত প্রশাসনের। আর না হয় প্রগতিশীল ও পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য বিশাল দুর্নাম ভয়ে আনবে সমাজে।”

মামলার তদন্তকারী এসআই খায়রুল জানায়, অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে, অচিরে বাকি আসামীদের আটক করা হবে।