প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসের হটস্পট নারায়ণগঞ্জ জেলা

260

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনভুক্ত সবগুলো এলাকাকে অধিক সংক্রমিত হিসেবে ‘রেড জোন’ চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া রেড জোনের তালিকায় রাখা হয়েছে সদর, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার উপজেলাকে। সংক্রমন ঠেকাতে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নটিতে চলছে লকডাউন। পর্যায়ক্রমে অন্য রেড জোনগুলোকেও লকডাউনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

গত ৮ মার্চ দেশের প্রথম করোনা শনাক্ত দুই রোগী পাওয়া যায় নারায়ণগঞ্জে। মার্চ মাসজুড়ে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। ৩০ মার্চ সর্বপ্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়। এপ্রিলের শুরু থেকে নমুনা সংগ্রহ বাড়িয়ে দেয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এরপর কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে জেলাটিতে মোট আক্রান্ত রোগী রয়েছে ৪ হাজার ৭৪ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯৬ জনের।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় গত ৭ এপ্রিল রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার পর গত ৩১ তারিখ থেকে সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন চালু হওয়াতে লকডাউন অকার্যকর হয়ে পড়ে। তবে থেমে থাকেনি সংক্রমন। এবার সংক্রমন ঠেকাতে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অধিক সংক্রমিত এলাকা চিহ্নিত করে আবারও লকডাউনের আওতায় আনা হচ্ছে।

জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, যেসব এলাকায় প্রতি এক লাখ জনসংখ্যায় গত ১৪ দিনে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছে সেসব এলাকাকে রেড জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সিটির সবগুলো এলাকা, সদর, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি এলাকাকে রেড জোনের তালিকায় এনেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নে গত তিন দিন যাবত চলছে লকডাউন।

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সভায় নারায়ণগঞ্জকে রেড জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে সিটি এলাকা, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজারের কথা বলা হয়েছে। তবে সেটা প্রাথমিক। আমরা তালিকা করছি। সব এলাকাই রেড জোনের তালিকায় পড়বে না। বাস্তব পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত নেব কোন এলাকার কোন অঞ্চলকে রেড জোন করা হবে। পুরো অঞ্চলকে লকডাউন করা সম্ভব না।

তবে সিটি এলাকার পুরোটাই এখন লকডাউন করা উচিত বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।