সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ সোনারগাঁ উপজেলা ও বন্দর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করছে বলে জানা যায়। অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের দুই পাশের কয়েক বিঘা জমি নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার আ,শঙ্কা রয়েছে। এ ঘটনায় জমির মালিকরা বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন সহায়তা পাচ্ছে না বলে তারা জানিয়েছে।
তথ্য সুত্রে, সোনারগাঁ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রক্ষ্মপুত্র নদী থেকে সনমান্দি ইউনিয়নের হরেদরদী এলাকার এক ব্যক্তি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড টানিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করে সাইনবোর্ড দেয়া জায়গাটির সাথে তার বক্তিগত জায়গা ভরাট করছে। সরকারী নির্দেশনা ছাড়া প্রতিদিন ব্রক্ষ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর দুপাশের কয়েক বিঘা ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার আশঙ্কা করছে জমির মালিকরা। বালু উত্তোলন বন্ধে গত কয়েকদিন আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ঐ এলাকার কৃষকরা।
এ ব্যাপারে জমির মালিক নুর মোহাম্মাদ জানান, গত কয়েকদিন ধরে রাতে ব্রক্ষপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলন করার ফলে আমাদের ফসলি জমিগুলো নিচে ডেবে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে আমাদের মুল্যবান ফসলি জমি হারিয়ে আমরা নিঃশ হয়ে যাব। আমাদের জমি রক্ষার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করে একটি অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু কোন প্রতিকার পাচ্ছিনা। এখন আমরা দিশেহারা। আমাদের এক টুকরো ফসলি জমি যদি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায় তাহলে আমাদের রাস্তায় বসা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।
সোনারগাঁ পরিবেশ রক্ষা উন্নয়ন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফিরোজ মিয়া জানান, সরকারী নির্দেশনা ছাড়া কেউ নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে পারে না। কেউ যদি তা করে তাহলে হবে অবৈধ। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন একটি ফৌজদারী অপরাধ। আমি সোনারগাঁয়ের প্রশাসনকে অনুরোধ করব অবিলম্বে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে কৃষকদের ফসলি জমি রক্ষা করার প্রদক্ষেপ নিন।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানায়, আমি যতদুর জানি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বালু উত্তোলন করছে। তবে কেউ যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে নিজ জমি ভরাটের চেষ্টা করে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।