ত্রিশাল থেকে এস.এম রুবেল আকন্দ: ময়মনসিংহের ত্রিশালউপজেলারব্রহ্মপুত্র নদের বালুমহাল থেকে অবৈধভাবে ইজারার টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্রহ্মপুত্র নদ খননের সিদ্ধান্তের পর ময়মনসিংহের ত্রিশালের ব্রহ্মপুত্র নদের সকল বালুমহাল নতুন করে কোন ইজারা দেওয়া হয়নি। প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে বালু মহালের সাবেক ঠিকাদার রুহাল বন্দেগী ইজারার টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাঠাঁল ও কানিহারী ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের ঝিলকি, তিরখি ও বারইগাঁও মৌজার বালুমহালের মেয়াদ শেষ হয় (৩০ চৈত্র ১৪২৬বাংলা) ১৩এপ্রিল ২০২০তারিখে। গত বছরের চৈত্র মাসে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের নদী খনন প্রকল্পের কারণে বন্ধ রয়েছে ইজারা কার্যক্রম। জেলা প্রশাসন থেকে নতুন করে ইজরা না হওয়ায় বালু মহালের বালু উত্তোলন, ইজারার কার্যক্রম বন্ধ থাকার কথা। অভিযোগ উঠেছে, বালু মহালের সাবেক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বানরিকা ইনক্ এর সত্ত্বাধিকারী শাহ রুহাল বন্দেগী জোরপূর্বক তার লোকজন দিয়ে ইজারার টাকা আদায় করছেন। কেহ ইজারার টাকা দিতে না চাইলে তাকে বিভিন্ন ভয় ভীতি এমনকি মামলা হামলারও হুমকী দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় বালু ব্যাবসায়ীরা অবৈধভাবে ইজারা বন্দের দাবীতে ত্রিশাল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত ২ মে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করা এবং চাদাঁবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন। বালু ব্যাবসায়ী মোঃ শামছুদ্দিন বলেন, আমাদেরকে ভয়ভীতি ও মামলার হুমকী দিয়ে ইজারার টাকা আদায় করছে। ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান রতন জানান, প্রশাসনিক ভয় দেখিয়ে প্রত্যেকটি বালুর ট্রাক থেকে ৪০০ টাকা করে ইজারা আদায় করছে। ছাত্রলীগ নেতা ও কানিহারীর বালু ব্যবসায়ী মোঃ নাইমুল হক অভিয়োগ করেন, বালু মহালের সাবেক ইজারাদার শাহ রুহাল বন্দেগী পুলিশ ও প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে অবৈধভাবে ইজারা নিচ্ছে।
বালু ব্যবসায়ী ইব্রাহীম খলীল নয়ন বলেন, অবৈধ ইজারাদারের বিরুদ্ধে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।বানরিকা ইনক্ এর ম্যানেজার মজিবুর রহমান জানান, সরকারী অনুমতি নিয়েই আমরা ইজারা আদায় করছি। অনুমতির কাগজ চাইলে তিনি ঠিকাদার রুহাল বন্দেগীর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।বানরিকা ইনক্ এর সত্ত্বাধিকারী শাহ রুহাল বন্দেগী বলেন, আমি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মৌখিক অনুমতি নিয়ে ইজারার টাকা আদায় করছি।
এ ব্যপারে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নতুন করে বালু মহালের ইজারা দেয়া হয়নি। কেউ যদি প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে ইজারার টাকা আদায় করে তা অবৈধ।