নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা নিরসনে চান মারি রেললাইন মাঊরাপট্টি থেকে তল্লা বড় মসজিদ এলাকা পর্যন্ত গঞ্জে আলী খাল পুনঃখনন কাজ শুরু হয়েছে। খালটি উদ্ধার ও পুনঃখনন কাজে সহযোগিতা করায় এমপি সেলিম ওসমান, এমপি শামীম ওসমান ও নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন কাউন্সিলর ও ওয়ার্ডবাসী। খালটি যে পর্যন্ত সচল না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত পুনঃখনন কাজ চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু।
২৮ জুন রবিবার সকাল থেকে তল্লা রেললাইন থেকে এই কাজের উদ্বোধন করে কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু। এ সময় উপস্থিত ছিল, নাসিকের প্রকৌশলী খন্দকার নাজমুল আলম, প্রকৌশলী রাশেদ মোল্লা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা আলমগীর হিরণ, স্বাধীন আহম্মেদ মিঠু সহ অন্যান্যরা। গঞ্জের আলী খালের তল্লা রেললাইনের এলাকায় পলিথিন ও জুটের জট দেখা গেছে। ৩টি ভেকু দিয়ে পরিস্কার কাজ শুরু করলে এলাকাবাসী উচ্ছেদ ও খাল পুনঃখননের জন্য নাসিক কর্তৃপক্ষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন জানায়। এ সময় খালটি পুনঃখনন পর যেন পুনরায় দখলে না যেতে পারে, সে দিকে সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে।
কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু জানায়, দীঘদিন যাবৎ কৃত্রিম জলাবদ্ধতা কারণে জনজীবনের অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। রাতে বেলায় অনেকে ভালো ঘুমিয়ে ছিল, সকালে উঠে দেখে ঘরে খাটে নিচে পানি জমে উঠেছে। এর কারণে ঘরে ও বাহিরে মানুষ বের হতে পারে না। উত্তর চাষাড়া থেকে সরদারপাড়া পর্যন্ত জলাবদ্ধতা হয়ে থাকতো। সব অবৈধ দখলদের দখলে কারণে এসব পানি সৃষ্টি হত। ইতিমধ্যে অনেক খাল খননের জন্য দখলদাররা তাদের মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে। যে পর্যন্ত গঞ্জে আলী খাল সচল না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পুনঃখনন কাজ চলমান থাকবে।