সময়ের চিন্তা ডট কমঃআইনের চোখে কেউ যদি অপরাধী হয়ে থাকে তাহলে সব অপরাধের জন্য নিয়ম একই হওয়ার কথা। পুরো বিশ্ব যেখানে নোবেল করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত সেখানে করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে দেশ ও জাতিকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেওয়া জেকেজির চেয়ারম্যান ডাঃ সাবরিনাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার সময় পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে কতই না সম্মান দেখাচ্ছেন ছবিতে দেখা যাচ্ছে।
অথচ সিনিয়র সাংবাদিক কাজলকে নিজের দেশে অনুপ্রবেশকারী আইনে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণের সময় পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা যেন এক আতঙ্কবাদী জঙ্গি ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করছেন এ ধরনের মনোভাব দেখিয়েছিলেন।
সাংবাদিক কাজল বাংলাদেশের নাগরিক। দীর্ঘ ৫৩ দিন নিখোঁজ থাকার পর যশোর বেনাপোলে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে পুলিশের কাছে আটক হন।
আমার এ লেখাটা অন্ধের রাজ্যে আয়না বিক্রি ঘটনার মতো হলেও নিজের মনের ক্ষোভ মেটাতে লিখছি।
আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে সুশীল সমাজ ও সচেতন মহলের কাছে জানতে চাই যে রিজেন্ট হাসপাতালে মালিক সাহেদ ও জেকেজির চেয়ারম্যান ডাঃ সাবরিনা দেশের দুর্যোগপূর্ণ সময় করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় পুরো পৃথিবী যেখানে আতঙ্কিত ।সেখানে করোনা টেস্টের ভূয়া রিপোর্ট দিয়ে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার মতো জঘন্য অপরাধকারী শাহেদ সাবরিনা দের মত ভদ্রলোকের মুখোশের আড়ালে জানোয়ারদের এভাবে জামাই আদর করা হয় কেন ?
আর যদি কোন গণমাধ্যমকর্মী যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইনে বাজে কোন মামলায় গ্রেফতার হলে কেন তাদের সাথে খারাপ আচরণ করা হয়?
এবং সেই সময় পুলিশের মনোভাব থাকে সেই গণমাধ্যমকর্মী কত যেন জঘন্যতম অপরাধের দণ্ডিত আসামি।
গণমাধ্যম দেশের চতুর্থ স্তম্ভ যদি হয়ে থাকে তাহলে কেন গণমাধ্যম সৈনিকরা এত নির্যাতিত লাঞ্ছিত বঞ্চিত?
কেন গণমাধ্যম সৈনিকদের নীরব কান্না সচেতন মহলের চোখে পড়ে না।