এক শিশুর অনন্য মানবিকতা

330

সময়ের চিন্তা ডট কমঃ করোনা সংকটে মানবিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো ৬ বছরের শিশু সামি ইয়াসমিন তুশি।শিক্ষক শিক্ষিকা পিতা মাতার জৈষ্ঠ সন্তান তুশি আজ শুক্রবার বিকালে তুশি তার পিতা সামি সোহেল ও মাতা তানজীলা ত্বোহা ও আত্মীয় নাসির রানাকে নিয়ে আমার কার্যালয়ে উপস্থিত। সাথে নিয়ে এসেছে তার টাকা জমানোর প্লাটিকের ব্যাংক।তুশি তার জমানো টাকা করোনা সংকটে থাকা মানুষের জন্য আমার হাতে তুলে দিল হাসি মুখে।আমি অভিভূত হয়ে জানতে চাইলাম,এত টাকা দিয়ে তো তুমি অনেক চকলেট কিনতে পারতে?কেন তুমি আমাকে দিচ্ছো।তার সরল উত্তর,আব্বু আম্মু চকলেট কিনে দেয়।আমি টেলিভিশনে দেখেছি আমার মত কত বাচ্চার আব্বু আম্মু খাবার কিনে দিতে পারে না,আপনি ওদের আমার টাকা দিয়ে খাবার কিনে দিবেন।

তুশির বাবা মা উভয়েই বাসায় ছাত্র ছাত্রীদের ব্যাচ করে পড়ায়।তুশি আইডিয়াল স্কুলের শিশু শ্রেনীতে ভর্তি হয়েছে এবার।তার আরও একটা ছোট বোন আছে।সপরিবারে আমলাপাড়ায় বসবাস করে।

আমি ও আমার অফিসে উপস্থিত পুলিশের এসপি মর্যাদার একজন কর্মকর্তা সহ আমরা বন্ধুরা সবাই ৬ বছরের বাচ্চার এমন কথা ও দানে অভিভূত হই।বড় বড় মানুষরা যখন লুটপাট আর নিজের আখের ঘুছাতে অস্থির, তখন তুশির মত বাচ্চারা আমাদের চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় মানবিকতা কাকে বলে।তুশির টাকার ব্যাংকটা হয়তো লুটেরাদের দিকে বলে “আবার তোরা মানুষ হ’

আমি তুশির টাকার ব্যাংকটি তুশির কাছেই জমা রেখেছি।যদিও সে নিতে চায় নি।বলেছি তুমি আরো টাকা জমাও পরে তোমার কাছ থেকে নিয়ে আসবো।

আমার কোন দরিদ্র শিশুর জন্য খাবার কিনে তুশির হাতেই তাকে দেয়ার ব্যাবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ রাব্বুল আলআমিন তুশির এই দান ও মানুষিকতা কবুল করুণ।