সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ সোনারগাঁ উপজেলায় সোনারগাঁ থানা রোড পৌর ভবনাথপুর কলাপাতা ফুড লিমিটেড কলাপাতা “সর দৈ” বিক্রির নামে প্রতারনার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক ভোক্তভোগি জানায় ১ কেজি দৈ ২৫০ টাকায় কিনে নিয়ে মেপে পায় ৬৫০গ্রাম থেকে ৭০০ গ্রাম। ঠান্ডা মাথায় ভোক্তাদের ঠকিয়ে রাতারাতি বিলেনিয়ার হতে চাচ্ছে মোতাহার মাসুম। সুত্রমতে, গ্যাস চুরি করে কোটিকোটি টাকা বিদেশে পাচার করে ক্ষান্ত হয়নি প্রতারক মাসুম শিকদার। কলাপাতা ফুড লিঃ বগুরার দৈ নামে বাজারে এনেছে কলাপাতা দৈ। কিন্তু তারা দৈ বিক্রির শুরুতেই ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা করেছে। এক কেজি পরিমানের দৈয়ের পাত্রের ওজন ১০০০ গ্রাম। দৈ সহ পাত্রের ওজন ১৬০০ গ্রাম। মুলত ক্রেতারা এক কেজি দৈ কিনে আধা কেজি পাচ্ছে। এ বিষয় নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।
জানা যায়, ৪ আগষ্ট মঙ্গলবার কলাপাতা ফুড লিঃ বাজারে এনেছে কলাপাতা বগুরার সর দৈ। শুরুতেই ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন দৈ বাজারে আসার পর ক্রেতারা দৈ ক্রয় করে বাসায় নিয়ে বগুরার দৈয়ের কোন বিশেষত্ব পায়নি বরং প্রতারিত হয়েছে। দৈয়ের পাত্র দেখতে বড় হলেও মাটির তৈরির পাত্রের পুরুত্ব বেশি হওয়ায় মনে সন্দেহ হয়। পরে খালি দৈয়ের পাত্র এবং দৈসহ পাত্রের ওজন দেওয়া হয়। দেখা গেল, খালি পাত্রের ওজন ১০৭০ গ্রাম এবং দৈসহ পাত্রের ওজন ১৬০০ গ্রাম। ভোক্তা বা ক্রেতা এক কেজি দৈয়ের দামে দৈ পাচ্ছেন ৫০০ গ্রাম। এক কেজি দৈয়ের দাম ২৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। অথচ ক্রেতারা শুরুতেই প্রতারিত হচ্ছেন কলাপাতা ফুড লিমিটেডের দৈ ক্রয় করে।
শাহ আলী নামের এক ক্রেতা জানান, বাজারে তৈরি নতুন দৈ দেখে কিনে আনলাম, পরে পাত্র থেকে পরিবেশনের সময় দেখি পাত্র পুরুত্বঘণ এবং দৈ কম দেখায়। পরে আরেকটি পাত্র এনে ওজন দিয়ে দেখি পাত্রের ওজন দৈয়ের চেয়ে বেশি। এ এক অভিনব প্রতারনা। আমি আর কোন দিন এ দৈ কিনে খাবনা।
কলাপাতা দৈয়ের মালিক মোতাহার শিকদার মাসুমের সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
কলাপাতা রেস্ট্রুরেন্টের প্রকৃত মালিক মোমেন জানান, কলাপাতা ফুড লিমিটেডের সাথে তার কোণ সম্পর্ক নাই। কলাপাতা রেস্ট্রুরেন্ট গ্রাহকের সেবায় নিয়োজিত আছে এবং থাকবে। কলাপাতা রেস্ট্রুরেন্ট নিজের মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে সকল গ্রাহকের দোয়া উজ্জীবিত থাকবে।