অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৬ শ্রমিক আটক, মুলহোতা অধরা

434

মোক্তার হোসেন, সোনারগাঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৬ শ্রমিককে আটক করা হয়েছে কিন্তু রহস্যজনক কারনে মুলহোতা অধরা বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত নুনেরটেক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে।

বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের ভিত্তিতে ২৫ অগাষ্ঠ মঙ্গলবার ভোরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন রিয়াজুল ইসলাম, সেলিম হোসেন, আব্দুল মান্নান, জয়নাল আবেদীন, কবির হোসেন ও জহিরুল ইসলাম মোরশেদ। এসময় ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) আল-মামুন, সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক পঙ্কজ ক্রান্তি সরকার ও এস আই আব্দুর রবসহ বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। অপরাধ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রহস্যজনক কারনে মুলহোতা অধরা বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী প্রশ্নের জবাব এরিয়ে যান ইউএনও আতিকুল ইসলাম। বাল্কহেড ও ড্রেজার জব্দের ব্যপারে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম কোন মতামত প্রকাশ করেন নাই।

এব্যাপারে সোনারগাঁ সহকারী কমিশনার (ভুমি) আল-মামুনকে কল করে পাওয়া যায়নি। এসি ল্যান্ড আল-মামুনের বিরোদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ রয়েছে বলে জানায় অনেক ভুক্তভোগী।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারদী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নুনেরটেক, রঘুনার চর, গুচ্ছগ্রাম, সবুজবাগ ও শান্তিবন গ্রামের পার্শ্ববর্তী মেঘনা নদী। মেঘনা নদীর নুনেরটেক এলাকায় পার্শবর্তী মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ লতিফ সরকার ও তার লোকজন রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে। বালু উত্তোলনে নুনেরটেক এলাকায় ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বসত বাড়ি ও কৃষিজমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

এলাকাবাসী আরও জানায়, নুনেরটেক একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তরিত হচ্ছে। এ সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা বেড়াতে আসেন। বালু উত্তোলনের ফলে নুনেরটেক বিলীন হলে পর্যটন কেন্দ্র বিলীন হয়ে যাবে। বালু উত্তোলন বন্ধে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে গ্রামবাসীর উপর হামলা করে। এছাড়াও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে থাকে এবং রহস্যজনক কারনে মুলহোতা অধরা বলে জানা যায় এলাকাবাসী। শ্রমিক অসহায় বলে তাদের আটক করে আর মুলহোতারা পয়সা দিয়ে অফিসারদের পকেটভারী করে বলে তারা অধরা এবং তাদের বাল্কহেড ও ড্রেজার জব্দের ণেই কোন ব্যবস্থা বলে দাবী এলাকাবাসীর।