জিসামনি ঘটনায় না‘গঞ্জ পুলিশের ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত

319

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গণধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে ৩ আসামীর জবানবন্দীর পরও ভিকটিম উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের নির্দেশে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে এ কমিটি গঠন করা হয়।

সোমবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এডিশনাল এসপি ডিবিকে প্রধান করে কমিটিতে রাখা হয়েছে সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) ও ডিআই-১কে।

নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কারোড এলাকার গার্মেন্ট শ্রমিক জাহাঙ্গীরের ছোট মেয়ে জিশা মনি। গত ৪ জুলাই থেকে সে নিখোঁজ হয়। আর ৬ আগস্ট বাবা জাহাঙ্গীর আলম নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। ৭ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয় কথিত প্রেমিক আব্দুল্লাহ, নৌকার মাঝি খলিল ও অটো চালক রকিবকে। এদের মধ্যে কথিত প্রেমিক আব্দুল্লাহ, নৌকার মাঝি খলিল ধর্ষণের পর হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেন।

এর ১৫দিনের মধ্যে জিশামনিকে জীবিত ফেরত আসলে এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। প্রশ্ন উঠে তদন্ত কর্মকর্তার উদ্দেশ্য নিয়ে। অভিযোগ উঠে নির্যাতনের মাধ্যমে ৩ যুবককে স্বীকারোক্তি আদায়ের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর পর জেলা পুলিশ সুপার এ ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

তদন্ত কমিটি গঠনের সত্যতা স্বীকার করে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান, ঘটনাটি খুবই চাঞ্চল্যকর। তাই ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন ও সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে এডিশনাল এসপি ডিবিকে প্রধান করে সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) ও ডিআই-১কে কমিটিতে রাখা হয়েছে।