নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের খানপুর করোনা হাসপাতাল কতৃপক্ষের অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। করোনার নমুনা নেওয়া হয়েছে, কিন্তু রির্পোট আসেনি। এমন অবস্থায় হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী আইসিইউ না দেওয়ায় মৃত্যু হয়েছে এক নারী রোগীর।
৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে তীব্র শ্বাসকষ্ট উঠে খানপুরের করোনা হাসপাতালেই মৃত্যু হয় রোগীর। পরে পরীক্ষার রির্পোটে জানা যায়, ঐ নারী রোগী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ছিলেন। মৃত ঐ নারী রোগীর নাম কানিজ ফাতেমা (৪০)। সে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমিন হোসেনের স্ত্রী।
আমিন হোসেনের অভিযোগ, ১০টি আইসিইউ বেডের মধ্যে ৯টি খালি থাকার পরেও আমাদের রোগীকে আইসিইউ দেওয়া হয়নি। আমি বহুবার অনুরোধও করেছি, তারা পাত্তাই দেয়নি।
১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শওকত হোসেন শকু বলেন,“আমার চোখের সামনে কাতরাতে কাতরাতে মারা গেলো। আজকে যদি তাকে আইসিইউ দেওয়া হতো, তাহলে তার মৃত্যু হয়তো হতো না। এখানে করোনা হাসপাতালের নামে রোগীদের নিয়ে তামাশা হচ্ছে। এ তামাশা বন্ধে সেলিম ওসমান ও ডিসি সাহেবের দৃষ্টি আকর্ষন করছি”।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর খোরশেদ আলম জানান,“এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে, করোনার রির্পোট আসতে আসতে তো অনেকেরই মৃত্যু হয়ে যাবে। তাই এই অবস্থায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি”।
এর আগে দুপুরে সামসুন্নাহার (৭০) নামের আরও এক করোনা পজেটিভ হয়ে খানপুর হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যু হয়েছে। সে মাসদাইলের বাসিন্দা ছিলেন।
জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ বলেন,“করোনা রিপোর্ট আসুক বা না আসুক, করোনা রোগী হউক বা না হউক, কোন রোগীর শ্বাসকষ্ট হলে সাথে সাথে আইসিইউ সাপোর্ট দিতে হবে। ডাক্তাররা আইসিইউ সাপোর্ট নাদিয়ে রোগীকে মেরে ফেলেছে, তাই তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করার আহবান জানিয়েছে সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জেন ইমতিয়াজকে ০১৮১৯৩২৬৪২৫ নাম্বারে কল করলে তিনি কল ধরেন নি।
এ ব্যাপারে খানপুর করোনা হাসপাতালের ২৪ ঘন্টা যোগাযোগ করার নাম্বার 01730-324785 এ কল করলে কোন সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি।