স্বাস্থ্য ঝুকি ও পরিবেশ নষ্টে চৈতী কম্পোজিট,স্থানীয় প্রশাসন নীরব ভুমিকায়

384

মোক্তার হোসেন, সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ স্বাস্থ্য ঝুকি ও পরিবেশ নষ্টে চৈতী কম্পোজিট, স্থানীয় প্রশাসন নীরবভুমিকায় অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। সোনারগাঁয়ের স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক ড্রেন নির্মাণের কাজ করে পরিবেশ দূষন অব্যাহত রেখেছে চৈতি কম্পোজিট লিমিটেডের মালিক পক্ষ। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার টিপরদীতে অন্যের জমিতে জোরপূর্বক ড্রেন নির্মাণের কাজ করছে বলে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে চৈতি কম্পোজিটের ড্রেন নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম। কিন্তু চৈতি কম্পোজিট অদৃশ্য শক্তি ও স্থানীয়  ক্যাডার বাহিনীর ক্ষমতা বলে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ময়লা ও বর্জ্য মিশ্রিত পানি নিস্কাশনের ড্রেনের কাজ করে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে গতকাল ২৮ জুলাই বিকালে জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ানগঞ্জ জেলা কমিটির পেডে চৈতী কম্পোজিট লিমিটেরের বিরুদ্ধে জরুরীভাবে আইনত ব্যবস্থা গ্রহন করে সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা করার জন্য সদ্য আসা সোনারগাঁ নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলামের নিকট আবেদন করেন। জেলা সভাপতি সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ্দের সাথে ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা সভাপতি এডভোকেট সফর উদ্দিন সবুর ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মোক্তার হোসেন। ইউএনও আতিকুল ইসলাম স্বচ্ছতার সাথে চৈতী কম্পোজীটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন, জেল জরিমানাসহ প্রয়োজনে ফ্যাক্টরি সিলাগালা করে দিবেন বলে আশ্বাস দেন।

সুত্রমতে, দীর্ঘদিন যাবত চৈতী কম্পোজিটের বিরুদ্ধে অনিয়ম, জবর-দখল, পরিবেশ নস্ট নিয়ে অভিযোগ ও মানব বন্ধন চলছে। অনেক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে কিন্তু এলাকাবাসী কোন সুফল পাচ্ছে বিধায় জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ানগঞ্জ জেলা কমিটি চৈতী কম্পোজিট লিমিটেরের বিরুদ্ধে জরুরীভাবে আইনত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য লিখিত আবেদন করে।

বিভিন্ন পত্রিকার হেড লাইন,“সোনারগাঁয়ের জমি জবর-দখল করে ময়লা পানি নিস্কাশনের পাইপ স্থাপন, স্থানীয় প্রসাশনের নির্দেশ অমান্য করে জোরপুর্বক ড্রেন নির্মানেরে কাজ অব্যাহত, সোনারগাঁয়ে চৈতী গ্রুপের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ও জোড়পুর্বক নীরিহ কৃষকের জমি দখলের অভিযোগ, বিষাক্ত বর্জ্য ও দুষিত পানি দিয়ে পরিবেশ নষ্ট, চৈতী কম্পোজিটের বিরুদ্ধে মানববন্ধন, চৈতী কম্পোজিট থেকে নির্গত বিষাক্ত বর্জ্য অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন, প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে জোরপুর্বক ড্রেস্ন নির্মান ও পরিবেশ দুষন করছে চোইতী কম্পোজিট, চৈতি কম্পোজিটের বর্জ্যে পরিবেশ বিপর্যয়, সোনারগাঁয়ের জমি জবর-দখল করে ময়লা পানি নিস্কাশনের পাইপ স্থাপন, সোনারগাঁয়ে চাকুরীচুত্যের ভয় দেখিয়ে শ্রমিকদের কাজ করতে বাধ্য করছে চৈতি কম্পোজিট, সোনারগাঁওয়ের চৈতী কম্পোজিটের বর্জ্যে মাছের খামারীর কোটি টাকার ক্ষতি, সোনারগাঁওয়ের চৈতী কম্পোজিটের বর্জ্যে মাছের খামারীর কোটি টাকার ক্ষতি, চৈতী কম্পোজিটের বিষাক্ত বর্জ্যে ভাসছে মাছ, চাকুরীচুত্যের ভয় দেখিয়ে কাজ করতে বাধ্য করছে চৈতি কম্পোজিট, চৈতী কম্পোজিটের বিষাক্ত বর্জ্যের পানিতে ভাসছে খামারীদের মাছ, চৈতি গ্রুপের বিরুদ্ধে জোরপুর্বক অন্যের জমির উপর ড্রেন নির্মানের অভিযোগ, সোনারগায়ে কৃষকের জমি দখলের অভিযোগ চৈতী কম্পোজিটের বিরুদ্ধে, সোনারগাঁয়ে চৈতী কম্পোজিটের নিরাপত্তাকর্মীদের সাথে লড়াই, চৈতী  কম্পোজিটে হাজার শ্রমিকের বাধ্যতামুলক ছুটি প্রদান, সোনারগাওয়ে চৈতি কম্পোজিটের বিষাক্ত বর্জ্যে ৫০ হাজার মানুষের জীবন ঝুকিতে, ফের এলাকাবাসীর জমি দখলের অভিযোগ চৈতী গ্রুপের বিরুদ্ধে, সোনারগাঁয়ে চৈতী গ্রুপের সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে ৫ জন গুলি বিদ্ধ, অন্যের জমিতে ড্রেন নির্মানের অভিযোগ চৈতী কম্পোজিটের বিরুদ্ধে, অবৈধভাবে অন্যের জমির উপর ডাইংযের দুষিত পানি নিশকাশনের পাইপ বসিয়েছে চৈতী গ্রুপ, চৈতি কম্পোজিটের বর্জ্যে পরিবেশ বিপর্যস্ত, এমপি খোকার নিকট ইটালী প্রবাসীর আহবান; চৈতি কম্পোজিট বন্ধ করুন।”

চৈতী কম্পোজিটের বিষাক্ত বর্জ্য মিশ্রিত পানিতে পরিবেশ নস্ট ও স্বাস্থ্যজুকি রোধে এলাকার জনসাধারন ডিসি , উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলার পরিবেশ ডিডি সাঈদ আনোয়ারকে কল করলে তিনি বলেন,“ আপনি এ ব্যাপারে ইন্সপেক্টর মইনুল সাহেবের সাথে কথা বলেন। মইনুল সাহেব এ বিষয়টি দেখাশুনা করছে।”

এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলার পরিবেশ ইন্সপেক্টর মইনুলকে কল করলে তিনি বলেন,“ করোনার মধ্যে আমরা বাহিরে খুবকম অভিযান চালাচ্ছি, আর চৈতীর  ইটিভি প্লান আছে কিন্তু পানির কালার ঠিক মত পরিস্কার হয়না, আমরা তাদেরকে ইটিভির প্যারা মিটার ঠিক না থাকায় কয়েকবারে ৫০/৬০ লাখ টাকা জরিমানা করেছি। আপনার কাজ থেকে যখন জানলাম তাই আবার অভিযান পরিচালনা করব। আউটডোর থেকে পানি এনে পরীক্ষা করব। প্রয়োজনে আপনারা অভিযোগ করলে অভিযানে আপনারাও সাথে যেতে পারবেন। তবে বাস্তবতা হল, তারা দিনে কাজ বন্ধ রাখে কিন্তু রাতের আঁধারে কাজ করে ফেলে।”

এ ব্যপারে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাওকে কল করলে তিনি কল রিসিভ করেন নি। তাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠালে তার কোন জবাব পাওয়া যায়নি এবং সংবাদ প্রকাশ করার আগ পর্যন্ত কল  ব্যাক করেননি।

এ ব্যপারে উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন,“ আমি বিষয়টি শুনেছি, তবে ফ্যাক্টরি বন্ধ করলে হাজার হাজার স্থানীয় শ্রমিক না খেয়ে মরবে।” আপনি ফ্যাক্টরি বন্ধ করবেন কেন ? তার জবাবে তিনি বলেন,“তবে পরিবেশ নষ্ট যাতে না হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের একটি ইটিভি আছে, মাঝ মাঝে তারা এটা বন্ধ রাখে বলেই দুষিত পানি দিয়ে পরিবেশ নষ্ট হয়। আমি বিষয়টা দেখব।”

এ ব্যাপারে চৈতি কম্পোজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালামকে কল করে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য,সোনারগাঁয়ের চৈতি কম্পোজিট লিমিটেডের বিষাক্ত বর্জ্য ও দুষিত পানি দিয়ে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য ঝুকিতে এলাকার মানূষ। তার প্রতিবাদে মানব বন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকা বাসী।

২২ জুন সোমবার চৈতি কম্পোজিট লিমিটেডের সামনে এই মানব বন্ধন করা হয়। মানুষে জমি জবর দখল করে প্রকাশ্যেই অবৈধভাবে পানির লাইন করার জন্য মোটা পাইপ বসানো হচ্ছে। সাদিয়া নাসরিন বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় ও পরে ইউএনও অফিসে অভিযোগ করে।যার অনুলিপি অনেক জায়গায় দেয়া হয়েছে কিন্তু কোন প্রতিকার না পেয়ে মানব বন্ধন করে এলাকাবাসী।

এর আগের ঘটনাও সোনারগাঁবাসীসহ দেশবাসী জানে। এম পি লিয়াকত হোসেন খোকাও এসে দেখেছেন গভীর সুরঙ্গ দিয়ে বিষাক্ত বর্জ্য ও দুষিত পানি খালে ফেলেছে চৈতী কম্পোজিট। আমরা স্বচ্ছ বিচার চাই। স্বাস্থ্য বান্ধব পরিবেশ চাই, অত্যাচার থেকে মুক্তি চাই।

২৮জুলাই জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আবেদন করলেও সোনারগাঁ ইউএনও আতিকুল ইসলাম কোন ব্যবস্থা নেয়নি। নারায়ণগঞ্জ ডিসিকে অনুলিপি দেয়া হয়েছে, হোয়াটস আপে মেসেজ দেয়া হয়েছে চৈতীর বিরুদ্ধে ইউএনও আইনত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ডিসি জসিম উদ্দীন মেসেজের কোণ জবাব দেয়নি। কোণ অদৃশ্যকারনে সোনারগাঁ ইউএনও ও ডিসি জসিম উদ্দীন চৈতীর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না? তাই এলাকাবাসী উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।