সরকারী রাস্তা জমি হালট খাল ও নদী দখল করে আমান গ্রুপের স্থাপনা, প্রশাসন নীরব ভুমিকায়  

636

মোক্তার হোসেন, সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ  সোনারগাঁ থানার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের হিন্দুদের জমি দখল, গ্রামবাসীর চলাচলের রাস্তা, নদীতে গোসল করার জায়গা বন্ধ করে নদী দখলের অভিযোগ উঠেছে আমান গ্রুপের বিরোদ্ধে। সরকারি খাল ভরাট, পাকিস্তান আমলের রাস্তা দিয়ে হাড়িয়া ও গামতলিবাসী হেটে পাকিস্তান বাজার ও বৈদ্যের বাজার যাতায়ত করত বলে সুত্রে জানা যায়। তারা আরো বলেন ভুয়া লোক দিয়ে জাল দলিল বানিয়ে দালাল চক্রের মাধ্যমে অনেক জমি হাতিয়ে নিয়েছে আমান গ্রুপ। গ্রামের প্রভাবশালী কিছু লোক সিন্ডিকেট করে আমান গ্রুপের কাছে জালিয়াতির মাধ্যমে নদী গর্বের খাস জমি বিক্রি করেছে বলে জানায় গ্রামের কয়েকজন লোক।

সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নে অবস্থিত আমান ইকোনোমিক জোন।  আমান গ্রুপের ম্যানেজার রবিউল হোসেন ও অপর কর্মকর্তা নাদিরুজামান এর বিরুদ্ধে অন্যের জমি জবর দখলের অভিযোগ করেছে হারিয়া বৈদ্যপাড়া এলাকার  সুমন হাসান। আমান গ্রুপের ঐ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী সুমন হাসান। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে হারিয়া বৈদ্যপাড়া এলাকার লোকমান হোসেনের ছেলে সুমন হাসান তার মা নারগিছ বেগমের ২২ শতাংশ পৈত্রিক সম্পত্তি আমান গ্রুপের লোকজন শক্তি প্রয়োগ করে দখলে নিয়ে রেখেছে। সেখানে মাটি ভরাট করে নিজেদের স্থাপনা করে জবর দখলে আছে। তার মায়ের প্রাপ্য পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধার করতে গেলে নানারকম ভয়ভিতির স্বীকার ভুক্তভোগী সুমন হাসান। গত ৩ বছর ধরে তাদের অফিসে ঘুরে ঘুরে কোন প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে থানায় অভিযোগ করে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকার টেঙ্গারচরে গিয়ে দেখা যায়, মেঘনা নদী দখলের প্রতিযোগিতা চলছে। দেশের বড় বড় শিল্প-কারখানার মালিকরা এর সঙ্গে জড়িত। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল, চেয়ারম্যান-মেম্বারদের হাত করে নির্বিঘ্নে নদীর জমি দখল করছে তারা। এতে দিন দিন ছোট হয়ে আসছে  মেঘনা। আনন্দ বাজারের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও নদীটা বাজারের কাছে ছিল। এখন

দখলদারদের কারণে সেটা ২০০ ফুট পূর্ব দিকে সরে গেছে। সবার চোখের সামনে নদীর প্রায় ২০০ বিঘা জমি ভরাট করে চারদিকে সীমানা প্রাচীর দেওয়া হয়েছে। কেউ একটু বাধাও দেয়নি।’

আনন্দবাজারের পাশে সোনমুহী এলাকায় আমান গ্রুপের বিশাল সিমেন্ট কারখানা নির্মাণ করা হচ্ছে মেঘনার তীর ঘেঁষে। অনেক দূর থেকেই তাদের নদী দখলের বিষয়টি চোখে পড়ে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আমান গ্রুপ প্রথমদিকে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি কিনে সেখানে সাইনবোর্ড লাগায়। এরপর নির্বিচারে নদীর জমি দখল করে সেখানে মাটি ফেলে। একই সঙ্গে অনেকের ধানিজমি দখল করে নেয় তারা। ভুক্তভোগীরা প্রশাসন ও স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে ঘুরেও প্রতিকার পাচ্ছে না।

স্থানীয় কৃষক হাসান মাতবর জানান, নদীর তীরে তাঁর মতো আরো অনেকের জমি আমান গ্রুপ দখল করে নিয়েছে। সবচেয়ে বেশি দখল হয়েছে নদীর খাসজমি। তাদের কারখানার জন্য প্রায় ২০০ বিঘা জমি রয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশিই নদীর খাসজমি। প্রশাসন নদী রক্ষার চেয়ে দখলদারদের পক্ষেই বেশি কাজ করছে। স্থানীয়ভাবে প্রতিবাদ হলেও প্রভাবশালীদের কাছে সবাই অসহায়।

তবে আমান গ্রুপের জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক রবিউল হোসাইন প্রতিবেদককে জানায়, নদীর তীরবর্তী স্থানে তাঁরা সিমেন্ট কারখানা নির্মাণ করছেন স্থানীয়দের কাছ থেকে জমি কিনে। সেখানে মেঘনা নদীর কোনো জমি নেই।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যক্তিমালিকানাধীন দুই বিঘা জমি কেনে, সঙ্গে আরো ১০ বিঘা খাসজমি দখল করে নেয়। এ জন্য স্থানীয় একটি দালাল শ্রেণি গড়ে উঠেছে। যারা জমি কেনা, খাসজমি দখল এবং নদীর জমি কেনার বানোয়াট দলিল-পর্চা তৈরি করে দলিল রেজিস্ট্রির জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করে।

বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মাহবুব সরকার বলেন, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীর পর এখন মেঘনাও হুমকির মুখে। প্রতিদিনই নদী দখল-ভরাট চলছে। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এর সঙ্গে জড়িত। স্থানীয় একটি দালালচক্র এদের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। তারা সাধারণ মানুষকে ফুসলিয়ে, হুমকি দিয়ে নদীর তীরবর্তী ধানিজমি কম টাকায় কিনে নিচ্ছে। কেউ না বেচলে তার জমি জোর করে দখলে নিচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, বৈদ্যেরবাজারের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী আবু তালেবের নেতৃত্বে সেখানে একটি প্রভাবশালী চক্র সৃষ্টি হয়েছে। আবুল ফয়েজ শিপন, হাজী শহীদুল্লাহ, ডা. আব্দুর রউফসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র নিয়ে গাজী তালেব নদী ও সাধারণ মানুষের জমি দখলে সহযোগিতা করছেন। চক্রটি বর্তমানে নদীর জমি শিল্পপতিদের হাতে তুলে দিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক। কেবল নদী নয়, তাদের কাছে এলাকার সাধারণ ভূমি মালিকরাও অসহায়।

তবে গাজী আবু তালেব ও আবুল ফয়েজ শিপন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নদীর জমি নয়, আমরা বৈধ মালিকদের জমি বেচাকেনায় সহযোগিতা করছি।’

ভূমি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের পক্ষে সরকারি খাসজমি রক্ষার দায়িত্ব সোনারগাঁ এসি ল্যান্ড অফিসের। তালিকা করে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তাদের। কেউ সরকারি জমির ওপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে তা উচ্ছেদের দায়িত্বও তাদের। তবে মেঘনার জমি দখলের বিষয়ে জানতে সোনারগাঁ এসি ল্যান্ড অফিসে গিয়েও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত নদীর কী পরিমাণ জমি দখল হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য এসি ল্যান্ড অফিসের কেউ জানাতে পারেননি।

এসি ল্যান্ড বলেন, ‘শিগগিরই মেঘনা নদী দখলদারদের একটি তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব। তবে আমি শুনেছি, মেঘনা নদীর মেঘনা ঘাট ও বৈদ্যেরবাজার আনন্দবাজার এলাকায় সবচেয়ে বেশি নদী দখল হয়েছে।’ কানুনগো বলেন, ‘মুখে মুখে মেঘনা নদী দখলের কথা জানলেও এসি ল্যান্ড অফিসে এ-সংক্রান্ত কোনো ফাইল নেই।’

পরিবেশ কর্মী এবং সোনারগাঁ সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি এ টি এম কামাল বলেন, ‘মেঘনা দখলের যে মহোৎসব চলছে তা বন্ধ করতে পারে একমাত্র প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনের অনেকেই এই দখলের সঙ্গে জড়িত। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল দখলদারদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দখলদারদের যোগসাজশ থাকায় সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে পারছে না। পরিবেশ অধিদপ্তর মাঝে মাঝে লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে দায়িত্ব শেষ করছে।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, সরকারি নদী কিংবা খাসজমি রক্ষার দায়িত্ব তহসিল কিংবা এসি ল্যান্ড অফিসের। কিন্তু তাদের সে ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় না। তারা জমির নামজারি ও মিস কেস নিয়ে সব সময় ব্যস্ত থাকে। এর মধ্যে ইউনিয়ন তহসিলদাররা নদী দখলদারদের প্রধান সহযোগী। মূলত তাঁরাই নদীর খাসজমি দখলের পথ বাতলে দেন। বৈদ্যের বাজারে হযরত আলী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ‘নদী রক্ষায় কোনো টাকা নেই। নামজারি ও মিস কেসে টাকার ছড়াছড়ি। যার কারণে প্রশাসনের লোকদের তা নিয়েই ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।’

মেঘনা ঘাট এলাকায় নদী দখল পর্ব শেষ হওয়ার পর এখন বৈদ্যেরবাজার-আনন্দবাজার এলাকায় নির্বিচারে নদী দখল চলছে। জাল দলিলের মাধ্যমে সাধারণ কৃষকের জমিও দখল করা হচ্ছে। বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের সোনামুহী, নরসুলদী, পূর্ব দামোদর, টেঙ্গারচর ও নয়াপাড়া মৌজায় মেঘনা নদীর প্রায় ৫০০ বিঘা জমির পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের প্রায় ২০০ বিঘা জমি অবৈধ ও ভুয়া দলিলের মাধ্যমে দখল করা হয়েছে। এলাকাবাসীর এক বিঘা জমির সঙ্গে নদীর পাঁচ বিঘা জমির জাল দলিল রেজিস্ট্রি করে তা দখলদার চক্রের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।

বিআইডাব্লিউটিএ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, নদী দখলদারদের স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য সোনারগাঁ থানা-পুলিশের অসযোগিতার কারণে তাদের পক্ষে অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে নদীবন্দরের ভবিষ্যৎ ব্যাহত হতে পারে।

সোনারগাঁ এলাকার সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, ‘নদী দখলমুক্ত করার জন্য যে উদ্যোগই নেওয়া হোক, আমি তার সঙ্গে আছি। অতীতে আমরা ঢাকার আশপাশের অনেক নদ-নদী হারিয়ে ফেলেছি। এখন সোনারগাঁর মেঘনাকে হারাতে চাই না। নদী দখলমুক্ত করতে সব রকম ব্যবস্থা নেব।’

২৩ মে ২০১৯ ইং বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এবং নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম-পরিচালক গুলজার আলীর তত্ত্বাবধানে মেঘনা নদীতে চতুর্থ দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালায় সংস্থাটির ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ সময় আমান গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আমান ইকোনোমিক জোনের নির্মাণাধীন ওই শিল্প কারখানার নামে নদী দখল করে ১শ’ ফুট প্রশস্ত ও ছয় হাজার বর্গফুট দৈর্ঘ্যের জায়গা দখলমুক্ত করতে ভেকো দিয়ে খনন কাজ শুরু করা হয়। একই সাথে নদী ভরাটের কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ বালু নিলামে তুলে ৯৬ লক্ষ ২৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়। এর পাশাপাশি নদীর তীরে আমান গ্রুপের বাঁশের বেড়ার সীমানাও ভেঙ্গে ফেলে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। নদী ভরাট ও দখলের অভিযোগে আমান গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নাদিরুজ্জামান ও নির্বাহী পরিচালক (কর্পোরেট এ্যাফেয়ার্স) রবিউল হককে আটক করে বিআইডব্লিউটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত।

উচ্ছেদ অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের উপ-পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ সহ টেকনিক্যাল বিভাগের কর্মকর্তারা।

বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক জানান, নদী দপ্তরের অনুমোদন থাকলেও এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটি সরকারি আদেশ ভঙ্গ করে নদীর নির্ধারিত জায়গা দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ সহ নদীর বিরাট অংশ ভরাট করে ফেলেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

৩১ অগাস্ট সোনারগাঁ ইউএনও কে আমান গ্রুপের অবৈধ কাজ বন্ধ করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করে ইমেইল দেয়া হয়েছে। সরকারী রাস্তা, খাল জমি নদী দখল্কারী আমান গ্রুপের সোনার বৈদ্যের বাজার ইউপির সকল জমি উদ্ধার করার জন্য জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি সোনারগাঁ ইউএনও কে ইমেইলে নিউজের কাটিংসহ প্রেরন করে বিশেষভাবে অনুরোধ করছেন। ফোনে কল করে ইমেইল চেক করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। যার অনুলিপি জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দীনকে দেয়া হয়েছে।

এব্যাপারে ডিসি জসিম উদ্দীনকে জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি সুলতান মাহমুদ কল করে পায়নি বলে তার হোয়াটস আপে মেসেজ পাঠিয়েছেন এবং মুঠো ফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে হোয়াটস আপ মেসেজ পড়ার জন্য বলেছেন। কিন্তু সোনারগাঁ ইউএনও আতিকুল ইসলাম এবং ডিসি জসিম উদ্দীন নদী দখল বন্ধে ও সরকারী জমি,খাল, হালট পুর্নোদ্ধারের কোন ব্যবস্থা নেয়নি। নদী ভরাটের কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ বালু নিলামে তুলে ৯৬ লক্ষ ২৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয় কিন্তু অদ্যবিধি বালু সরানো হয়নি।তার উপর দেদারছে কাজ করে যাচ্ছে আমান গ্রুপ।

নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক মাসুদ কামাল জানায়, “আমান গ্রুপ ডিসি সাহেবের কাছে আপীল করেছে, ডিসি সাহেব কি করেছেন আমি বলতে পারবো না।” তাহলে কি আমান গ্রুপের দখলদারিত্বের পিছনে ডিসি জসিম উদ্দীনের হাত আছে? প্রশ্ন জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির।