৩৫ বছর পূর্বের ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোড় দখলের চেষ্ঠা কথিত আওয়ামী নেতা শাহাদাতের

364

বন্দর প্রতিনিধিঃ বন্দর পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মৃত নজরুল ইসলামের ৩৫ বছর পূর্বের ক্রয়কৃত রেখে যাওয়া সম্পত্তির ভোগ দখলের চেষ্ঠার অভিযোগ উঠেছে বন্দর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পার্লার শান্তার স্বামী তথা কথিত আওয়ামী নেতা শাহাদাত ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে।

গত ১৬ই সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে তথাকথিত আওয়ামীলীগ নেতা শাহাদাত গং ঘাড়মোর এলাকায় লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্ঠা করে। ঐ সময় দখলে বাধা দিতে গিয়ে আহত হন মৃত আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী ছানোয়ারা বেগম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সংবাদকর্মীরা উপস্থিত হলে এ অভিযোগ করেন ছানোয়ারা বেগম।

এই ব্যাপারে ছানোয়ারা বেগম গনমাধ্যমকে আরো জানায়, অত্র সম্পত্তি আমার স্বামী প্রায় ৩৫ বছর পূর্বে খরিদ সুত্রে মালিক হয়ে অদ্যতক ভোগ দখলে আছি। বিভিন্ন সময়ে দখলবাজরা হুমকি ধমকি দেওয়ার কারনে বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে নারায়ণগঞ্জ এ একটা দেওয়ানি মামলা দায়ের করি যাহা বর্তমানে চলমান রয়েছে।

আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত দখলবাজদের বিরুদ্ধে শোকজ এর আদেশ প্রদান করেন। কিন্তু বিবাদীরা আদেশ অমান্য করে আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পেশি শক্তি ব্যবহার করে উক্ত সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছে।

ছানোয়ারা বেগম গনমাধ্যমকে আরও জানান, আমার স্বামী যাদের কাছ থেকে এই সম্পত্তি কিনেছে তাদের অন্যান্য দাগ ও খতিয়ানে আরো অনেক সম্পত্তি থাকা স্বত্যেও শাহাদাত গং তার ওয়ারিশ দের কাছে সম্পত্তি দাবি না করে আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তিই জবর দখল করতে আসে।

ছানোয়ারা বেগম আক্ষেপ করে বলেন, আমার স্বামী নজরুল ইসলাম গত ৬ এপ্রিল মারা গেছেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা কালীন সময়ে আমাদের এই ভাবে জুলুম নির্যাতনের শিকার হতে হবে চিন্তা করতে পারি নাই। এই সময় সহানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতার সাথে কথা বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক করে বলেন, আমি নজরুল ভাইকে দীর্ঘদিন থেকে চিনি এবং জানি। তিনি বন্দর থানা পৌর কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন, তিনি মৃত্যু পর্যন্ত আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন শাহেদ আর পাপিয়ার পেত্মাত্বা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে রয়েছে। তাদের কারণে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা কর্মীরা আজ অবহেলিত ও নির্যাতিত। শাহাদাত শাহেদ এর মতই একজন। সে কখনও আওয়ামী নেতা কখনো যুবলীগ কখনো শ্রমিকলীগ নেতা দাবি করে নিরীহ মানুষের সম্পত্তি দখল বাজিকরে বেড়ায়। তার স্ত্রী ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পর সে আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার পরিবার জামাত পরিবার। আরডিপি মাল্টিপারপাসের মালিক বাটপার সাব্বির তার ভাগিনা, আদ্ব-দীন মাল্টিপারপাসের মালিক বাটপার শরীফ তার আপন বোন জামাই। সে তার পরিবার বাটপারদের সাথে মিশে সাধারণ মানুষের টাকা মেরে এখন হাইব্রিড কাউয়া আওয়ামী বনে গেছে।

এবিষয় বন্দর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালিমা হোসেন শান্তা বলেন, এটা আমার স্বামীর ওয়ারিশ সম্পত্তির মালিক। এ পর্যন্ত যতগুলো মামলা করেছে আমরা সব কয়টাই রায় পেয়েছি। গত ১৬ সেপ্টেম্বর আমরা আমাদের সম্পত্তিতে বেড়া দেওয়ার জন্য গেলে এড. মাহমুদার নেতৃত্বে আমাদের খুটি ভেঙ্গে ফেলে যার ছবি তুলে রেখেছি। ১৯ সেপ্টেম্বর সামাজিক ভাবে বিচারের শালিস বসার কথা ছিল। কিন্তু মামলা চলমান অবস্থায় কোর্ট অবমাননা করে স্থানীয় ভাবে কিছুই করা যাবে না বলে জানান বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ফখরুউদ্দিন।সুত্র শিক্ষা তথ্য ও জাগো নারায়ণগঞ্জ