ছাত্রকে বেঁধে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে মাদ্রাসার শিক্ষক

399

সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ  নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে জুনায়েদ নামের মাদ্রাসা ছাত্রকে বেঁধে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা মহিবুল ইসলাম। ঘটনার পর থেকে শিক্ষক মহিবুল পলাতক। তার মোবাইল ফোনে কল করে পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, উপজেলার বৈদ্যের বাজার ইউপির আনন্দ বাজার এলাকার বসনদরদী গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে জুনায়েদ। আল কাসিম নূরানী কিন্ডারগার্ডেন ও মাদ্রাসার নজরানা বিভাগে পড়াশোনা করে জুনায়েত।

সুত্রমতে, ২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মহিবুল ইসলাম ছাত্র জুনায়েদকে হাত পা বেঁধে কাঠের ডাসা দিয়ে অন্যায়ভাবে পিটুনি দেয়। তাতে জুনায়েদের ডান পা ভেঙে যায়।  ছাত্র জুনায়েদকে শিক্ষক মহিবুল ইসলাম বাড়ি চলে যেতে বলে, কাউকে কিছু জানাতে নিষেধ করে এবং ভয়ভীতি দেখায়। অসুস্থ জুনায়েদ বাড়িতে গেলে তার বাবা ও ভাই তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়। এক্সরে করে রিপোর্টে দেখা যায় পা লাঠির আঘাতে ফেটে গিয়েছে।

মারার কারণ জানতে চাইলে জুনায়েদ জানায়, বিনা কারণে চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে হাত পা বেঁধে কাঠ দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়। তবে সে কোন চুরির বিষয়ে জানে না। এদিকে ঘটনার রাতেই ছাত্রের বাবা মাদ্রাসায় গেলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ছাত্রের বাবাকে ২০০০ টাকা ধরিয়ে দেয় এবং বলে পরে বসে আপোষ মিমাংসা করা হবে। এদিকে ছাত্রের শরীর আরো খারাপ হলে বুধবার দুপুরে সোনারগাঁও সেবা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় তার বাবা মা ও ভাই।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও পরিচালক মাওলানা ইয়াকুব মিয়া জানায়, ঘটনা সত্য, ছাত্রের বাবার সাথে মীমাংসাও হয়ে গেছে। এই সম্পর্কে আর কথা বলতে রাজি হয়নি ইয়াকুব। অনেক চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে আর ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। 

অন্য শিক্ষকরা এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি নয়। মাদ্রাসায় গিয়ে আরো দেখা যায় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কভিট-১৯ এর কোন স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না। জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের সোনারগাঁ উপজেলা টিম তদন্ত করছে এই অত্যাচার ও নির্যাতনের ঘটনা। অসহায়ের পাশে থেকে দোষীদের বিচারের ব্যবস্থা করবে জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন।