সাংবাদিক ইলিয়াস হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দ্রত বিচারের দাবীতে প্রস্ততি সভা

373

হেলেনা খাতূনঃ আগামী ১৬ নভেম্বর বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত চাষাড়া শহীদ মিনারে প্রতিকী অনশন বন্দরে সাংবাদিক ইলিয়াস হত্যা মামলার পলাতক আসামীদের গ্রেফতার ও মামলাটি দ্রত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবীতে গৃহিত কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য প্রস্ততি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৯ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় বন্দর প্রেসক্লাব ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোবারক হোসেন কমল খান। তিনি বক্তব্যে বলেন, সমাজে অপরাধী অনেক প্রকাার আছে। কিন্তু একজনে অন্যজনকে হত্যা করা মহা পাপ। সাংবাদিক ইলিয়াস হত্যার পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে সকল সাংবাদিককে এক জোট করতে পেরেছি এজন্য সকলকেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বহির্বিশ্বের মানুষও এ খবর জেনেছে।কমল খান আরো বলেন, আমরা বন্দরের সাংবাদিকরা যদি ইলিয়াস হত্যা মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে চুড়ান্ত সাজা করাতে না পারি সেটা আমাদের ব্যর্থতা। আমাদের মধ্যে মতবিরোধ থাকতেই পারে। ভিন্নমত থাকতেই পারে। তবে মনে রাখতে হবে আমরা একে অপরের ভাই। কেউ বিনা কারণে আমাদের উপর হস্তক্ষেপ করবে তা আমরা কখনোই মানতে পারি না। বন্দরে সাংবাদিকরা একজোট হয়ে থাকতে চাই। সাংবাদিক ইলিয়াস হত্যার বিচার সম্পন্ন এবং খুনিদের ফাঁসী না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। তিনি বলেন, আমি স্থানীয় প্রসাশনকেও বলেছি আপনাদের দ্বায় এড়াতে পারেন না। আমাদের আন্দোলনে দেরিতে হলেও ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যান নিহত ইলিয়সের বাসায় গিয়ে শোকাহত পরিবারকে শান্তনা, অর্থ সহায়তা ও ঘর করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা সাংবাদিক। কারো সাথে কারো বিরোধ থাকলে সেটা নিজেদের মধ্যে সমাধান করে নেব। ইলিয়াস হত্যার ঘটনায় বন্দরের সাংবাদিকরা ঐক্যবধ্য হয়ে সর্বোচ্চ বিচারের জন্য আন্দোলন করে যাব। মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবী জানান কমল খান।বন্দর প্রেসক্লাবের সাধারণ-সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় প্রস্ততি সভায় কমল খানের বক্তব্যর সঙ্গে একাত্ততা প্রকাশ কের বক্তব্য রাখেন, বন্দর প্রেসক্লাবের সহ সম্পাদক হাজী মোঃ নাসির উদ্দিন, সদস্য মাহফুজ জাহিদ, সাংবাদিক এস. এম.আবদুল্লাহ্, এস.এম.শাহীন, সাব্বির আহামদ সেন্টু, খান সোহেল, কায়সার হোসেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জি. এম. মাসুদ, সাবেক সভাপতি শহীদুজ্জামান ফিরোজ ও আতাউর রহমান, কার্যকরী কমিটির সহ সভাপতি মোঃ কবির হোসেন, দপ্তর ও প্রচার সম্পদক মেহেবুব মিয়া, সদস্য মামুন মিয়া, শাহ জামাল, মেহেদী হাসান রিপন, সাংবাদিক শেক আরিফুল ইসলাম, ডালিম হাসান, মোঃ আরিফুল ইসলাম, শাকির আহমেদ বাপ্পী ও আব্দুল মান্নান খান বাদলসহ নিহতের পরিবার।প্রস্ততি সভায় উপস্থিত সকল সংবাদকর্মীদের সর্বসম্মতিক্রমে জেলার সকল সংবাদকর্মীদের সমন্বয়ে আগামী ১৬ নভেম্বর সোমবার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত নগরীর চাষাড়া শহীদ মিনারে প্রতিকী অনশন পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। একই সাথে কর্মসূচী সফল ও বাস্তবায়নের লক্ষে পেসক্লাবের সভাপতি মোবারক হোসোন কমল খানকে আহ্বায়ক ও ৫ জনকে যুগ্ম আহাবায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। নিহত ইলিয়াস হত্যা মামলার বিচার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থেকে আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যাক্ত করে উপস্থিত সংবাদকর্মীরা একাত্ততা ঘোষনা করেন। পরে প্রেসক্লাবের সভাপতি কমল খানের ব্যক্তিগত ১০ হাজার, সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদদিকী ৫ হাজার, এস.এম.শাহীন ১ হাজার ও মোঃ আরিফুল ইসলাম ১ হাজার মোট ১৭ হাজার টাকা নিহত ইলিয়াসের মা ও স্ত্রীর কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।