বন্দর প্রতিনিধিঃ অবশেষে সকল আক্ষেপ আর বিরোধের ইতি টেনে আবারো একই টেবিলে বন্দরে আলোচিত দুই রাজনৈতিক নেতা খাঁন মাসুদ ও দুলাল প্রধাণ।সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা তথা জেলার সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি এহসানুল হক নিপু’র মধ্যস্থতায় বন্দর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদের বাসভবনে একটি রাত্রি ভোজনের আয়োজনে তাদের একে অপরের সাথে কাঁধে কাঁধ মেলাতে দেখা যায় তাদের। সেখানে তারা আহারো করেছে একই প্লেটে।
এব্যাপারে নাসিক’র ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ (দুলাল প্রধাণ) জানান,৩য় পক্ষ ভেবেছিলো আমাদের সম্পর্কের আরো অবনতি হবে। আমরা তাদের ঘোলা পানিতে মাছ স্বীকার বন্ধ করেছি৷ আমরা আগেও এক ছিলাম এখনো এক আছি। আমরা ২জনেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করি। আমাদের মধ্যে শুধু ভুল বুঝাবুঝি ছিলো।আগামি দিনে জনগনকে পাশে নিয়ে একইসাথে রাজনীতি করে যাব।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা খাঁন মাসুদ জানান,আসলে বিগত দিনে আমাদের নেতাকর্মীদের মাঝে কিছু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিলো।এবিষয়ে আমাদের রাজনৈতিক গুরু মাননীয় সাংসদ একেএম শামিম ওসমান ও একেএম সেলিম ওসমান সাহেব মিট-আপ করে দিয়েছেন।কিন্তু তারপরও ৩য় পক্ষ জলঘোলা করতে চেয়েছে। বস্তুত আমাদের মধ্যে সেদিনের পর থেকে কোন বিরোধ নেই।আমাদের মনের মিল হয়ে গেছে। আর সেটাই আমরা সেদিন প্রমাণ করেছি। আমরা বঙ্গবন্ধু’র আদর্শে একই পরিবারের রাজনীতি করি।ভবিষ্যতেও দলের স্বার্থে কাঁধে কাঁধ রেখে জনগনের রাজনীতি করব। দলের জন্য কোরবান হতে হলেও আমি তাতে রাজি।
প্রসঙ্গত,বিগত কয়েকমাস যাবৎ নাসিক’র ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধাণ ও জেলা যুবলীগ নেতা খাঁন মাসুদের কর্মি সমর্থকদের মাঝে বেশ কয়েকটি ইস্যু নিয়ে সাংঘর্ষিকতা চলছিলো। এই নিয়ে উভয়পক্ষের রাজনীতিতে সমালোচনার ঝড় বইছিলো।এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান তাদের বন্দর উপজেলায় তাদের মিমাংশা করলেও। ফের তাদের সম্পর্কের অবনতির গুঞ্জন উঠে। তবে গত সোমবার রাতেই তারা একই সাথে ভোজন করে তাদের পারস্পরিক সহবস্থান নিশ্চিত করেন।