সোনারগাঁ জি আর ইনস্টিটিউশন এর সামনে প্রতিবাদ সভা ও মানব বন্ধন

655

 

শফিকুল ইসলাম ইমামঃ সোনার গাঁ জি আর ইনস্টিটিউশন এর সামনে প্রতিবাদ সভা ও মানব বন্ধন করে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।

২০ নভেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকায় সময় এই প্রতিবাদ সভা ও মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। নারায়নগঞ্জের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক সরকারের উন্নয়ন মুলক কর্ম কন্ডের জি আর ইনস্টিটিউশন সীমানা প্রচীর ও মেইন গেইট নির্মানে জেলা পরিষদের নামে নেম প্লেট স্হাপন করেন। সোনারগাঁ  জিআর ইনস্টিটিউশন স্কুলে করোনাকালীন সময়ে স্কুল কমিটি ও ছাত্র- ছাত্রীদের কাজ থেকে স্যার বছরের বেতন চাইলে, অভিভাবকরা বেতন দিবে না বলেন, তা নিয়ে স্কুলে অরাজকতা শুরু হয়। মাননীয় সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা স্কুলের সমস্যা  সমাধানের জন্য এসে তিনি দেখেন, জেলা পরিষদের নামে ন্যাম ফলক এবং তিনি প্রশ্ন করেন জেলা পরিষদের নামে ন্যাম ফলক কেন?।  তখন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে রাগান্বিত হন নারায়নগঞ্জের ৩ আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা। এই চিত্র দেখে কতিপয় অতি উৎসাহিত মাননীয় সাংসদের উপস্হিতিতে ন্যাম ফলক ভেংগে ফেলে।

ঐ জঘন্ন ঘটনা থেকে শুরু হয় প্রতিবাদের ঝড়। সোস্যাল মিডিয়া, সোনারগাঁও পৌরসভা বাসী, আওয়ামী লীগের একাংশ, য়ুব লীগ, ছাত্রলীগের একাংশ, শ্রমিক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ, মহিলা লীগ, ৭১ ঘাতক দালা নির্মুল কমিটি। এই ন্যারাক্কা জনক কাজের জন্য তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানায়। এর ধারা বাহিকতা্য  ২০ নভেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩টায়, জি আর ইনিস্টিউটের স্কুলের সামনে প্রতিবাদ ও মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত প্রতিবাদ সভায়  উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক- মাহফুজুর রহমান কালাম, জেলা পরিষদের প্যালেন চেয়ারম্যান ও তোলারাম কলেজের সাবেক জিএস জাহাঙ্গীর, জেলাপরিষদ এর সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান মাসুম, পৌরসভার মেয়র প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় মহিলা যুব লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরিন সুলতান ঝড়া, সোনারগাঁ উপজেলা যুব লীগের সাবেক সভাপতি পৌরসভার মেয়র প্রার্থী গাজী মুজিবুর রহমান, পৌর সভার মেয়র প্রার্থী এডভোকেট ফজলে রাব্বী, ৭১ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সোনারগাঁও উপজেলা শাখা সভাপতি- শেখ এনায়েত হক বিদ্যুতসহ হাজার হাজার তৃনমুল কর্মী ও জনতা।

সোনার গাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যন মোশারফ হোসেন বলেন, তিনি মাতাল, মাতাল না হলে তিনি এ কাজের নির্দেশ দিতে পারতেন না।

আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর কালাম বলেন, গুন্ডামী করবেন না, আমরা রাজনৈতিক গুন্ডা, এই কাজের জন্য আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে প্রকাশ্যে সবার কাছে, আপনি খ্য়রাতি এমপি।

পৌরসভার মেয়র প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় মহিলা যুব লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরিন সুলতানা ঝরা বলেন, আপনি আমার সাথে মেম্বারি নির্বাচন করেন, যদি আপনি জিততে পারেন আমি জীবনে আর রাজনীতি করবো না।

তোলারাম কলেজের সাবেক জিএস জাহাঙ্গীর বলেন, খ্য়রাতি এমপি, আওয়ামীলিগের দয়ায় খোকা এমপি হয়েছেন।

পৌর সভার মেয়র প্রার্থী এডভোকেট রাব্বি বলেন, তিনি লাউয়ের আগাও খেতে চান ডুগাও খেতে চান। তিনি দু লাবরা কলমা চোর।

সোনারগাঁ উপজেলা যুব লীগের সাবেক সভাপতি ও পৌর সভার মেয়র প্রার্থী গাজী মুজিবুর বলেন, তিনি হলেন টুকাই সাংসদ ।তিনি আরো বলেন, আপনাকে এই কাজের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে, তা না হলে আপনাকে সোনারগাঁয়ে ডুকতে দেয়া হবে না।

আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের  তৃনমুলের কর্মীরা বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে বলেন, খোকার গালে জুতা মারো তালে তালে, সোনারগাঁয়ে গুন্ডামী চলবে না, চলবে না, চলবে না ।

এ ব্যাপারে সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা এমপিকে তার মুঠো ফোন ০১৯৩৩৩৯০০০ তে কল করলে তিনি কল ধরেন নি।