বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে এক নবজাতক শিশুকে উদ্ধার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গত ২০ নভেম্বর নবজাতকের পিতা দিনমজুর লাল মিয়া বাদী হয়ে স্ত্রীকে আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ মামলা দায়েরের ওই রাতে ফরাজিকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নবজাতক শিশুটির ঘাতক মা রিক্তা বেগম (৩০)কে গ্রেপ্তার করেছে। যার মামলা নং- ৩৪(১১)২০ ধারা- ৩১৭ পেনাল কোড-১৮৬০। গ্রেপ্তারকৃত রিক্তা বেগম জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার কুলকান্দি মধ্যপাড়া এলাকার মৃত রফিকুল ইসলাম মিয়ার মেয়ে বলে জানা গেছে। পুরিশ গ্রেপ্তারকৃত ঘাতক মা রিক্তা আক্তারকে উক্ত মামলায় ২১ নভেম্বর শনিবার সকালে আদালতে প্রেরণ করে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ বছর পূর্বে সুদূর জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার কুলকান্দি আকন্দপাড়া এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিক মিয়ার ছেলে লাল মিয়ার সাথে একই জেলার একই থানার একই এলাকার মৃত রফিকুল ইসলাম মিয়ার মেয়ে রিক্তা বেগমের সাথে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে রিহাত নামে একটি আট বছরের ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
এ ব্যাপারে লাল মিয়া গনমাধ্যমকে জানায়, আমি ও আমার স্ত্রী রিক্তা বেগম বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা বড় জামে মসজিদ সংলগ্ন আহসান উল্ল্যাহ মিয়া বাড়ীতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে। এ সুবাদে সংসার চালানোর জন্য আমি শহরের একটি ময়দার মিলে শ্রমিকের কাজ করি। গত ১০ মাস পূর্বে আমার স্ত্রী অন্তঃসত্ত¡া হয়। গত ১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় আমি আমার কর্মস্থলে যাই। পরে গত ২০ নভেম্বর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় আমি বাড়ীতে এসে দেখি আমার স্ত্রী বিছনায় কাতা গায়ে দিয়ে শুয়ে আছে। ওই বাড়ীওয়ালার ছেলে চিৎকার করে বলছিল ভাড়াটিয়া ঘরে পিছনে একটি বাচ্চা পাওয়া গেছে। উক্ত বাচ্চটি তাৎক্ষনিক বাড়ীওয়ালা ছেলে সজিব উদ্ধার করে বন্দর থানায় নিয়ে গেলে বন্দর থানা পুলিশ উদ্ধারকৃত নবজাতককে বন্দর ছাঁয়ানূর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক নবজাতকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য নবজাতককে মাতুয়াইল মিশু ও মা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে সেখানে উদ্ধারকৃত নবজাতকের মৃত্যু হয়।