ক্রয়কৃত ও বিজ্ঞ আদালতের রায়কৃত সম্পত্তি হরনের চেষ্ঠা

818

ডালিয়া ও হেলেনাঃ রাজেন চৌধুর্‌ পিতা মৃত গিরিধারী চৌধুরী ক্রয়কৃত ও বিজ্ঞ আদালতের রায়কৃত সম্পত্তি হরনের চেষ্ঠা চলছে। নারায়ণগঞ্জ শহরের নতুন পাল পাড়ার ডিপি রোড এলাকায় এ ঘটনা হচ্ছে। পুলিশ সুপার, সদর মডেল থানা ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জোণ-৮, টানবাজার এর নিকট অভিযোগ করেও পাচ্ছে না পরিত্রান। ভুক্তভোগী দারস্ত হয়েছে জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন এর নিকট।

সুত্রমতে,রাজেন চৌধুর্‌ পিতা-মৃত গিরিধারী চৌধুরী, মাতা-বিদ্যা রানী চৌধুরী, সাং-ডিপি রোড,নতুন পাল পাড়া, ডাকঘর-নারায়ণগঞ্জ(কালিরবাজার) থানা ও জেলাঃ নারায়ণগঞ্জ এই মর্মে জানাচ্ছি যে, আমার পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা ১)বিজয় দেবনাথ, ২)জয়দেব দেবনাথ, ৩)মায়া দাস, সর্ব পিতা- মৃত মনোরঞ্জন দাস সর্ব সাং-ডিপি রোড,নতুন পাল পাড়া, ডাকঘর-নারায়ণগঞ্জ(কালিরবাজার) থানা ও জেলাঃ নারায়ণগঞ্জ গংরা আমাদের ক্রয়কৃত রাস্তার ভুমি ০.৫৩ শতাংশ হইতে ১ফুট ৮ ইঞ্চি নিচের দিকে এবং ২.৫ ফুট ছাদের দিকে দখল করে ৬ষ্ঠ তলা ভবন নির্মান কাজ করিতেছে।যাহা রাজউক এর অগোচরে প্লান পাশ করিয়া অবৈধভাবে নির্মান কাজ করিতেছে।অবৈধ্য নির্মান কাজ বন্ধের জন্য বিগত ২১/০৯/২০২০ইং তারিখে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করি।থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্তের দায়িত্ব ইন্সপেক্টর কাম্রুযযামান সাহেবকে অর্পন করেন। কামরুজ্জামান তদন্ত করে বিবাদীদের কাজ বন্ধ করতে বলে আসে কিন্তু তারা একদিন কাজ বন্ধ রেখে পরের দিন আবার কাজ শুরু করে।এ বিষয়ে থানায় জানালে আমাকে সহ বিবাদীদের থানায় ডাকলে আমি উপস্থিত হই কিন্তু বিবাদীরা উপস্থিত হয় নাই। এভাবে কয়েকবার থানায় ডাকার পরও বিবাদীরা থানায় হাজীর হয় নাই।অতপর বিগত ২৪/০৯/২০২০ ইং তারিখে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জোণ-৮, টানবাজার এর বরাবর অভিযোগ দাখিল করি কিন্তু আমার জানামতে রাজউক জোন-৮ টানবাজার কোন ব্যবস্থা নেয় নাই।বিবাদীদের বিভিন্ন অত্যাচারে আমি আমার নিজের বাড়ী ছেড়ে ভাড়া বাড়ীতে বসবাস করি। আমি আমার ঘরবাড়ী দেখতে গেলে প্রান-নাশের হুমকি দেয় বিবাদীরা। এছাড়া বিবাদী ১)লিটন বসাক, পিতা-মৃত সংকর বসাক, ২)গীতা রানী বসাক, স্বামী- লিটন বসাক ৩) অসীম ঘোষ, ৪)ইতি ঘোষ,পিতা-সম্বুনাথ ঘোষ, ৫)মংগল ঘোষ, পিতা- মৃত নিবারন চন্দ্র ঘোষ, ৬)শ্যামল ঘোষ,পিতা-মৃত বিজয় ঘোষ গং সর্ব সাং-ডিপি রোড,নতুন পাল পাড়া, ডাকঘর-নারায়ণগঞ্জ(কালিরবাজার) থানা ও জেলাঃ নারায়ণগঞ্জ আমাদের বিজ্ঞ আদালত থেকে ডিক্রি পাওয়া জমির ০.৪৬ শতাংশ ও ২ শতাংশ ভুমিতে প্রবেশ করতে বাধা দেয়, অকথ্য ভাষায় গালা গালি করে, নারায়ণগঞ্জ থেকে চিরতরে বিতারিত করার ও জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর বিগত ৮/৯/২০২০ ইং তারিখে অভিযোগ করিলে তাহা নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় প্রেরন করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর তদন্ত মোস্তাফিজুর সাহেবকে দায়িত্ব দেন তদন্ত করার।মোস্তাফিজুর সাহেব সরজমিনে তদন্ত করে আমাকে সহ বিবাদীদের থানায় ডাকলে আমি উপস্থিত হই কিন্তু বিবাদীরা উপস্থিত হয় নাই। এভাবে কয়েকবার থানায় ডাকার পরও বিবাদীরা থানায় হাজীর হয় নাই। এমনাবস্থায় আমি আমার পরিবার নিয়ে ভয়ভীতির মধ্যে জীবন-যাপন করছি।ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় আমি সবার দারস্ত হয়ে কোণ কূলকিনারা না পেয়ে আপনার সংস্থায় অভিযোগ দায়ের করছি।

তথ্য মতে, শহরের পাল পাড়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধা বেহুলা রানী চৌধুরীর পরিবার স্থানীয় ভুমি সন্ত্রাসী রক্ষা পেতে নগরীতে মানব বন্ধন করেছে।

২০ নভেম্বর , শুক্রবার বিকেলে নাসিক ১৪ নম্বর ওয়ার্ড নতুন পালপাড়া এলাকাবাসির উদ্যোগে  নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মুক্তিযোদ্ধা বেহুলা রানীর নাতি রাজন চৌধূরী বলেন, পালাপাড়ার কিছু নামধারী সন্ত্রাসী নামের ভূমি দস্যুরা আমাদের জায়গা দখল করে রেখেছে। তারা হলেন, মঙ্গল ঘোষ (৫৮), শ্যামল ঘোষ (৫০) অমল ঘোষ (৩৮),অসীম ঘোষ (৩৮), প্রদীপ ঘোষ, মঙ্গল ঘোষের স্ত্রী অনিতা ঘোষ, ইতিঘোষ (৩২), বিজয় দেবনাথ (৪১), জয় দেবনাথ (৪৫), মায়াদাস (৪৬), এবং লিটন বসাক (৪০)। তিনি অভিযোগ  করে বলেন, তারা প্রত্যেকেই জোর করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জায়গা দখল করে রাখে।

তিনি আরও বলেন, আমরা কোর্টে মামলা করে নিম্ন আদলাত এবং উচ্চ আদালতের রায় পাই। একই সাথে কোর্ট থেকে ম্যাজিষ্ট্রেট এসে আমাদের জায়গা উদ্ধার করে দিয়ে যায়। তার পরেও ভূমিদস্যুরা আমাদের জায়গা দখলের পায়তারা করে আসছে। আমাদেরকে কাজ করতে দেয় না। আমার দাদীর জায়গা আমরা ওয়ারিশ সুত্রে পেয়েছি। ওই জায়গা আমরা বিক্রি করতে গেলে কতিপয় ভূমি দস্যুরা তা বিক্রি করতে বাধা দেয়। রাজন বলেন, লিটন বসাক আসা যাওয়ার পথে আমার বোনদের সাথে অশ্লীলতাহানী করে। তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে ডিষ্ট্রাব করে। আমি এসকল সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানাই।

বেহুলা রানীর মেয়ে স্বরসতি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমার মা যুদ্ধ করেছে। এ দেশের মুক্তিযুদ্ধাদের সহযোগিতা করেছে। অথচ আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হয়ে আজকে আমাদের জায়গা রক্ষা করার জন্য রাস্তায় নামতে হয়। সন্ত্রাস নামের নামধারী ভূমিদস্যুদের আমরা দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবী জানাই।

মানববন্ধনে মুক্তিযুদ্ধা বেহুলা রানীর নাতনি মল্লিকা রানী চৌধূরী, যারা আমাদের জায়গা দখল করে রেখেছে তারা অত্যন্তখারাপ লোক। আমাদের বাড়ীর পাশে হওয়ায় আমরা কাজ করতে গেলে কিছু নারী আমাদের এসে বাধা দেয়। তারা চায় আমরা তাদের সাথে ঝগড়া করি। যাতে করে তারা আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিতে পারে।  আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধা বেহুলা রানীর নাতনি স্বর্ণা রানী চৌধুরী, মুন্না চৌধুরী, রাজেস চৌধুরী, পুতুল রানী চৌধুরী প্রমুখ।