সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ৩ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যার পর হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে অবস্থানকালের ঘটনাটি স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মীরা সেই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে প্রচারে প্রতিহিংসায় সোনারগাঁয়ের চ্যানেল এসের সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হেফাজতের কর্মী-সর্মথকরা।
৫ই এপ্রিল সোমবার এশার নামাজের পর উপজেলার সনমান্দি ইউপির ভাটিচর (দরিকান্দি) গ্রামে হেফাজতের আক্রমণে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন হাবিবুর রহমান।
হামলার শিকার সাংবাদিক হাবিবুর রহমান মাটিতে পড়ে থাকলেও হেফাজতের আতঙ্কে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে তার স্ত্রী, সন্তান রক্তাক্ত মুমুর্ষ অবস্থায় সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আহত সাংবাদিক হাবিবুর রহমান সোনারগাঁও রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্য। তার উপর এমন হামলার নিন্দা জানিয়েছেন সোনারগাঁও রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারীসহ অন্যান্য সদস্যরা।
সোনারগাঁও রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আব্দুস সাত্তার জানান, সোনারগাঁওয়ে একজন সাংবাদিকের উপর এমন হামলার নিন্দা জানাই এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ভবিষ্যতে অন্যকোন কলম সৈনিক এমন পরিস্থিতির স্বীকার যেন না হয় সে বিষয়ে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ জানাই। অন্যদিকে চ্যানেল এসের পক্ষ থেকে এই হামলার নিন্দা জানিয়ে তারা জানান, তীব্র নিন্দা ও রাষ্ট্রের কাছে বিচার দাবি করছি। চ্যানেল এস এর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান এর ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে চ্যানেল এস কতৃপক্ষ এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি জানাচ্ছি।দুর্বৃত্তরা উনার বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে এবং ব্যাপক মারধর করেছে। হাবিবুর রহমান এখন সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
এব্যপারে জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্দেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সাংবাদিকের উপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য যে, গত শনিবার সন্ধ্যার পর সোনারগাঁ পানাম দিঘিরপার এলাকায় অবস্থিত সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে হেফাজতের কেন্দ্রীয় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে রয়েল রিসোর্টে এসেছিল।মাওলানা মামুনুল হক সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে অবস্থানের খবর পেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীকে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরবর্তীতে পুলিশি হেফাজতে তিনি স্ত্রী সহ তার সহযোগী ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কর্মীদের সাথে তিনি রিসোর্ট ত্যাগ করে।