সরকার দলীয় লোক হয়েও মানছেনা সরকারি নির্দেশনা, চলছে সালাম চেয়ারম্যানের মাদ্রাসা

467

বন্দর প্রতিনিধিঃ  করোনা ভাইরাসের মধ্যেও চলছে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গাজী এম এ সালামের হাজী সালেহা খাতুন মহিলা মাদ্রাসা। তিনি জনপ্রতিনিধি হয়েও সরকারি নির্দেশনাকে অমান্য চালিয়ে যাচ্ছে মাদ্রাসাটি। যদিও তিনি সচেতনার সাথে এলাকার উন্নয়ন কাজ করে আসলেও মানছেনা সরকারি নির্দেশনা। কাজ করে যাচ্ছে অসচেতন মূলক কর্মকান্ড।

এদিকে, এতিমখানা ছাড়া দেশের সব কওমি, আবাসিক-অনাবাসিক মাদ্রাসা বন্ধ রাখতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) থেকে পুনয়ায় কওমি মাদ্রাসা বন্ধের এই নির্দেশনা দেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বন্দর উপজেলাধীন মদনপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কেওঢালা এলাকায় অবস্থিত গাজী এম এ সালাম চেয়ারম্যান এর মায়ের নামে খ্যাত হাজী সালেহা খাতুন মহিলা মাদ্রাসা। তিনি নারায়ণগঞ্জ- ৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের আস্থাভাজন বন্দর থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হওয়ায় সরকারের নীতিমালা না মেনে এই মহামারী করোনা’র মধ্যে ও প্রতিদিন তার মাদ্রাসায় ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়ে যাচ্ছেন। মাদ্রাসাটির ভিতরে শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে বসে আছে, নেই কোন মাস্ক, মানছেনা স্বাস্থবিধি।

জানতে চেয়ে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালামের মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সরকার কি আপনাদের দায়িত্ব দিয়েছে মাদ্রাসাটির বিষয়। আপনি যা পারেন লেখে দেন বলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

এবিষয় বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সালাম চেয়ারম্যানের মাদ্রাসাটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এবং প্রায় ৪০ টি মাদ্রাসার সভাপতি সহ কর্তৃপক্ষের লোকজন আসছি মাদ্রাসা গুলো খোলা রাখার জন্য কিন্তু আমি বলে দিয়েছি মাদ্রাসা বন্ধ থাকবে।