সাংবাদিকদের হয়রানি মূলক মামলায় জড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

630

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে মাওলানা মামুনুল হক কান্ডের জেরে সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের অফিস, থানা যুবলীগের সভাপতির বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর মামলায় অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ও সময়ের চিন্তা অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক/প্রকাশক সুলতান মাহমুদ এবং দৈনিক আজকের আলোকিত সকাল পত্রিকার জেলা প্রতিনিধিকে আসামি করা হয়েছে। সাংবাদিকদের হয়রানি মূলক মামলায় জড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ। ভুল শিকার করে, হয়রানি প্রতিরোধ এবং মামলা থেকে সাংবাদিকদের অব্যহতি করার জন্য সোনারগাঁ যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুকে আহবান করেছেন ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন ও জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এস এম মোরশেদ।

মামলায় অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ও সময়ের চিন্তা অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক/প্রকাশক সুলতান মাহমুদ বিকাল ৪টা থেকে সন্ধার আগ পর্যন্ত সোনারগাঁয়ের আনন্দ বাজার ছিলেন। মামলায় অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সফিকুল ইসলাম ইমাম তার বন্ধু সাংবাদিক বিদ্যুৎ থেকে মামুনুল হকের আটকের সংবাদ পেয়ে সাংবাদিক সুলতান মাহমুদকে নিয়ে রয়েল রিসোর্টে যায়। রয়েল রিসোর্টের সামনের গেটে অনেক লোকের ভীড় এবং গেট বন্ধ দেখে ইমাম সাংবাদিক বিদ্যুতকে কল করে রয়েল রিসোর্টের পিছনের গেট খুলে সাংবাদিক সুলতান মাহমুদকে নিয়ে ভিতরে ডুকে। কিছুক্ষন পরেই দেখা যায় সোনারগাঁ যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সাগর রনি তাদের লোকবল নিয়ে রয়েল রিসোর্টের পিছনের গেট দিয়ে বের হয়ে যায়। তাদের সাথে সাথে সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ, ইমাম ও বিদ্যুৎও বের হয়ে যার যার গন্তব্যে চলে যায়। সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ চৌরাস্তা এসে সিএঞ্জি যোগে নবীগঞ্জ হয়ে নারায়ণগঞ্জ চলে আসে রাত ৮টার মধ্যে। আসার সময় সিএনজি থেকেই ৭.৩৫ মিনিটে কথা বলেন কামাল বাদশার সাথে, ৭.৩৭ মিনিটে অপরাত্র বিচিত্রার সম্পাদক এস এম মোরশেদ কল দিয়ে বলেন রয়েল রিসোর্টের ঘটনার লাইভ করতে। তখন সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ নবীগঞ্জ গুদারা ঘাটের কাছাকাছি চলে এসেছেন জানায় পত্রিকার সম্পাদককে।সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ তাতক্ষনিক ৭.৪১ মিনিটে জেলা প্রতিনিধি সফিকুল ইসলাম ইমামকে কল করে দেখেন ইমাম উদ্ধবগঞ্জ বাজারে আছে, তবে তার মোবাইলে চার্জ নাই লাইভ প্রোগ্রাম করার মত। সুলতান মাহমুদ ইমামকে বলেন বিশেষ প্রতিনিধি সফর উদ্দিন সবুরকে নিয়ে লাইভ করার জন্য।কথা বলার মাঝখানে মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। সুলতান মাহমুদ তার নারায়ণগঞ্জ অফিসে ডুকে মোবাইল চার্জ দেয় এবং ৮.৫৪ মিনিটে বিশেষ প্রতিনিধি সবুরের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। রাত্র ১১টা পর্যন্ত অফিসে থেকে বাসায় যায় সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ। নারায়ণগঞ্জ সম্যের চিন্তা অফিসের মেইন গেটে সিসি ক্যামেরা আছে যার মধ্যে সবার আসা যাওয়া রেকর্ড থাকে। তাহলে কিভাবে রাত ৯.৩০ টায় রফিকুল ইসলাম নানুর প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর ভাঙ্গার মামলায় সাংবাদিক সুলতান মাহমুদকে জড়ানো হল। কার কথায় বা ইঙ্গিতে জড়ানো হল?

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ কবীর হোসেন তাদের বাড়ির মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করে রয়েল রিসোর্টে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হেফাজতে ইসলামের তান্ডবের ভাংচুর ইটপাটকেল নিক্ষেপ দেখে ভয়ে জীবন রক্ষার্থে পালিয়ে আসে। সাংবাদিক কবীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন। সকল সাংবাদিক যেভাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছে আমিও গিয়েছি। গেইটে দিয়ে কার্ড দেখিয়ে প্রবেশ করেই নিউজ সোনারগাঁও ডটকম এর সাংবাদিক ফরিদের সাথে দেখা হয়। ফিরে আসার সময় দৈনিক কালেরকন্ঠে সোনারগাঁও প্রতিনিধি গাজী মোবারকের সাথে দেখা হয়। সেখান থেকে ফিরে এসে আমি শাপলা হোটেলে রাত এগারোটা পর্যন্ত ডিউটি করি। রেষ্টুরেন্টের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ রয়েছে। তাছাড়া এসব নৈরাজ্য মানসিকতার লোক আমি নই। আপনাকে কেন মামলায় জড়ালো? জানতে চাইলে কবীর হোসেন বলেন কার যেন একটা পোস্টের শেয়ার দিয়েছিলাম সেটাই কোড করেছে শুনেছি। অবশ্য আমার বন্ধু ছগীর আহমেদ আমাকে ফোন করে রিমুভ করতে বললে আমি দ্রুত শেয়ার ডিলিট করে ফেলি। সেখানে ঐ পোস্টে কারো নাম উল্লেখ ছিলো না। সাংবাদিক কবীর হোসেন বলেন, কেউ হয়তো অন্য কোন উদ্দেশ্য আমার নাম দিয়েছে। আমি আওয়ামী লীগের লোকজনের পক্ষে কাজ করছি। এর আগে পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে নৌকার পক্ষে করেছি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করেছি। বর্তমানেও কাজ করছি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি ছগীর আহমেদের পক্ষে। আওয়ামী লীগের, যুবলীগের, ছাত্রলীগের, কৃষক লীগের তথা আওয়ামী লীগের অংগ সংগঠনের অনেকের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে ।

সাংবাদিকদের আহবান ধরনের হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলায় এমন অনেকের নাম দিতে গিয়ে প্রকৃত অপরাধী রয়ে যাবে ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। আমরা চাই প্রকৃত অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, যারা অপরাধের সাথে জড়িত না তাদের নাম প্রত্যাহার করা হোক। জানা যায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় জাতীয় পার্টির ও বিএনপির অনেককে হেফাজতের বিরোদ্ধে করা মামলা গুলিতে জড়ানো হয়েছে। জাতীয় পার্টির ও বিএনপির অনেককে আসামী করে যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম নান্নু অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে বলে অনেকে জানায়।