নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ আলোরধারা অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক আসলাম মিয়ার নামে মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সময়ের চিন্তার সম্পাদক ও জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ। সিদ্দিরগঞ্জ থানা পুলিশকে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠ তদন্ত করার আহবান জানান তিনি।
প্রকৃত ঘটনা, নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন বার্মাস্ট্যান্ড এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃতঃ ইসমাঈল এর বখাটে পুত্র রফিকুল ইসলাম ইমন (৩৮) এর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মাদক মামলা রয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ মাদকসহ ইমন ও তার সহযোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন’র ছেলে রাশেদুল ইসলাম ডালিমকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের এই বিষয়টি গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়।
কিছুদিন আগে ইমনের ভবনের ময়লাযুক্ত পানিতে প্রতিবেশী উকিল ভূইয়া চলাচল করতে না পেরে গৃহবন্দি হয়ে পড়ায় নিরুপায় হলে, এ বিষয়ে আলোরধারা২৪.কমসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
মাদকাসক্ত ও মাদকবিক্রেতা ইমনকে নিয়ে এ সংবাদটি প্রকাশিত হলে ইমন তার পোষ্যভুক্ত সাংবাদিকের সহযোগিতায় সিদ্ধিরগঞ্জ মডেল থানায় আলোরধারা২৪.কমের সম্পাদক আসলাম মিয়া’র বিরুদ্ধে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ উল্লেখ করে একটি মিথ্যা অভিযোগ করেন।
ইমনের অভিযোগের বিষয়টি সম্পাদক আসলাম মিয়া’র জ্ঞাত ছিল না। ইমনের এই অভিযোগটিকে পুঁজি করে তার পোষ্যভুক্ত সাংবাদিক আসলাম মিয়া’কে জড়িয়ে কয়েকটি নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করলে এ সংবাদগুলো সম্পাদক আসলাম মিয়ার দৃষ্টিতে পড়ে।
মাদকাসক্ত ইমনের পক্ষে সংবাদ প্রকাশের কারণ ও ইমনকে সহযোগীতা করার নেপথ্যে বেড়িয়ে আসে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একজন ধূর্ত ও পুলিশের সোর্স হিসেবে সবাই যাকে চেনেন এমনই এক সাংবাদিকের নাম।
সূত্রে জানা যায় যে, থানায় অভিযোগের নাটের গুরু নামধারী সাংবাদিক ইমনের মাদক ব্যবসায়ের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ শেল্টারদাতা এবং নিজেকে ইমনের বন্ধু হিসেবে সবসময় প্রচার করে বেড়ায়। এই সূত্র ধরে কথিত সেই সাংবাদিক ইমনের কাছ থেকে অবৈধ পন্থায় হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা।
একজন সাংবাদিক হয়ে সে কীভাবে একজন মাদক ব্যবসায়ীকে প্রশ্রয় দেয় এমন প্রশ্ন উঠেছে সাংবাদিক মহলে।
অপরদিকে, ইমন একজন ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার হওয়া মাদক আসামী হয়ে তাকে (ইমন) নিয়ে প্রকাশিত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদকে মিথ্যা অপপ্রচার সংবাদ বলে থানায় সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সাহস কী করে পায় এই গুঞ্জন সকলের মুখে মুখে। একজন অপরাধী হয়ে কার আশ্রয়ে ও প্রশ্রয়ে, অধরা কোন ক্ষমতাসীনের ছত্রছায়ায় এমন সাহস পায় এই প্রশ্ন সচেতন মহলের কাছে রয়েই যায়।
সম্পাদক আসলাম মিয়া’র বিরুদ্ধে এমন ঘটনা শুনে সাংবাদিক মহল নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ মিথ্যা অভিযোগের বিষয়ে ইমনের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিয়ে উপর্যুক্ত ব্যবস্থা গ্রহনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক মহল। সাংবাদিক মহল বিনয়ের সহিত গণমাধ্যমের ব্যক্তিবর্গের কাছে অনুরোধ করে বলেন, যে কোন সংবাদ প্রকাশ করার আগে অবশ্যই সংবাদের বিষয়বস্তুর সত্যতা নিশ্চিত হয়ে প্রকাশ করলে সংবাদপত্রের মান বাড়বে। অন্যথায় পত্রিকার মান ক্ষুণ্ন হয়, যা আমাদের কাম্য নয়।