লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে আটকে পড়া শিক্ষার্থীসহ ১২ জন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী দেশে ফিরে এসেছে। কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন থেকে অনুমতিপত্র নিয়ে বুড়িমারী চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে তারা দেশে ফেরে।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে ভারতে আটকে পড়া শিক্ষার্থীসহ ১২ জন ফিরে আসা বাংলাদেশিকে বুড়িমারীতে বিশেষ ব্যবস্থায় কোয়ারিন্টিনে রাখা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করে বুড়িমারী ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ আনোয়া হোসন।
বুড়িমারী ইমিগ্রেশন সুত্রে জানা যায়, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে গত তিনদিনে বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই দেশের ১৬ জন যাত্রী পারাপার হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ ভারতীয় নাগরিক অনুমতি নিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য ভারতের আটকে পড়া ১২ বাংলাদেশি নাগরিকরা বুড়িমারী চেকপোস্ট দিয়ে দেশে প্রবেশ করে। এদের মধ্যে দার্জিলিং থেকে আসা ঢাকার ৬ শিক্ষার্থী ও চট্রগ্রামের ৩ জন ও রংপুর হারাগাছ এলাকার ৩ জন রয়েছে। তাদেরকে পাটগ্রাম উপজেলা প্রশাসন বুড়িমারী স্থলবন্দরের আবাসিক হোটের সামটাইম প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন রাখার ব্যবস্থা করে।
বুড়িমারীতে আটকেপড়া যাত্রী জাহিদুল ইসলাম বলে, ভারতে চিকিৎসার জন্য গিয়ে সে খানে করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসা না নিয়ে ফিরত এসেছি।কিন্তু বুড়িমারীতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ১৪ দিন আমার তিন জনের পক্ষে থাকা সম্ভব না। হাতে টাকা পায়সাও নেই কিভাবে ১৪ দিন থাকব। আমাদের হোম কোয়ারেন্টিনে দেওয়া অনুরোধ করছি।
বুড়িমারী ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ আনোয়া হোসন বলে, যারা ভারতে চিকিৎসার জন্য গিয়ে আটকে পড়েছে শুধু তারাই কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন থেকে অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরছে। এছাড়া সে সব পাসপোর্টধারী যাত্রীরা দেশে ফিরছে তাদের বাধ্যতামূলক বুড়িমারী কয়েকটি আবাসিক হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে বলে তিনি জানায়। বুড়িমারী স্থল বন্দরের স্বাস্থ্য উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রাসেল আহম্মেদ জানায়, ভারত থেকে আসা বাংলাদেশেী যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট ও শরীরের তাপমাত্রা, ঠান্ডা, কাশি ও এলার্জিজনিত বিষয়গুলো আছে কিনা তা যাচাই করে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে।