বন্দর প্রতিনিধিঃ বন্দরে এসএসসি উর্ত্তীণ এক শিক্ষার্থীর. বিবাহের ৮ বছর স্বামীর মানষিক শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেচে নিয়েছে গৃহবধূ রেখা বেগম(২৪)। সোমবার বিকালে কামতাল গ্রামের মৃত জমির আলীর বাড়িতে নিজ ঘরে তিনি ৫ মাসের গর্ভবতীবস্থায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।।মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে এক মেয়ে রেখে যান।
ঐদিন দরজা খোলা ঘরে স্ত্রীর লাশ ঝুলন্ত দেখে বড় ভাবিকে জানিয়ে স্বামী গনি আমিন ও ভাসুর নাজির পালিয়ে যায়। পরে ভাবি ছানোয়ারা আশপাশের মানুষজনকে ডেকে এনে ঝুলন্ত অবস্থায় রেখাকে স্থানীয় হাসপাতাল পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে।গ্রামবাসী সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ধামগড় ইউপির কামতাল গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে রেখা আক্তার এসএসসি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হওয়ার পরপর একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত জমির আলীর ছেলেগনি আমিনের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।এরই মধ্যে তাদের ঘরে একটি মেয়ে ও একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
তবে বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বিভিন্ন কারণে অশান্তির সৃষ্টি হয়।এরই ধারাবাহিকতায় বিগতদিন গুলোতে তাদের দাম্পত্যের কোলাহলের জেরে এ ঘটনাটি ঘটে।
এব্যাপারে,কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সুজন বলেন, আতœহত্যা করে মহিলা মারা গেছে বলে খবর পেয়েছি।ঘটনার তদন্ত চলছে পরে বিস্তারিত জানা যাবে।