নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিএনপি চেয়ারপারসনের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৯ সালে। দুদিন আগে তার পক্ষে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ পাসপোর্ট নবায়নের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশের বিধিনিষেধ বিবেচনায় আনতে হবে। সংশ্লিষ্ট দেশ এই সময়ে তাকে গ্রহণ করবে কি না, এটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। অন্যদিকে, তিনি কোন দেশে যাবেন, তা চ‚ড়ান্ত হয়নি। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নাকি চার্টার্ড বিমানে নেয়া হবে তাও নিশ্চিত নয় এখনও। এসব প্রশ্নকে পাশ কাটিয়ে শুক্রবার রাতে বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।’ হাসপাতালের সামনে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এখন সরকার কবে নাগাদ উনাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিবে এটা সরকারের বিষয়।’ এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শুক্রবার বিকেলে গণমাধ্যমকে বলেন, এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আজকে তো জুমাতুল বিদা। তবে সিদ্ধান্ত খুব শিগগিরই হবে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার এখনো অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। ডায়াবেটিস ১৭ থেকে ২২ এ উঠা নামা করছে। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার বয়স এখন ৭৬ । বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। এ অবস্থায় তিনি বিমানে দীর্ঘ সফর করতে পারবেন কি-না, তা চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে, জানিয়েছেন পরিবারের একজন সদস্য। বেগম জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য তার ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যে আবেদন করেছেন, সেখানে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ডের মতামত উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সেটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি তার পরিবার বা দল।