জানাতুল নাঈম সুরাইয়া ঃ লকডাউনে বন্ধ থাকা গণপরিবহনের দুর্দশাগ্রস্থ শ্রমিকদের পাশে দাড়িঁয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি ও প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা এ কে এম শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জের ৯০০ পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা তুলে দিয়েছেন। এসময় অনেক পরিবহন শ্রমিক কথা বলতে গিয়ে আবেগ্লাপুত হয়ে পরেন। মঙ্গলবার ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকার নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে এই সহায়তা প্রদান করা হয়।
শামীম ওসমান এ সময় বলেন, লকডাউনে সবচেয়ে দুর্ভোগের মধ্যে আছেন পরিবহন শ্রমিকরা। কারণ গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তারা বেকার হয়ে পড়েছেন। এই বিশাল শ্রমিক জনগোষ্ঠীরও পরিবার রয়েছে। তারা বলতে গেলে দিন আনেন দিন খান। অথচ তাদের পাশে এখনও কাউকে দাড়াঁতে দেখলাম না। শামীম ওসমান বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এই দেশের উপর , দেশের মানুষের উপর আল্লাহর বিশেষ রহমত আছে। এদেশের মানুষেরা এখনও না খেয়ে রোযা রাখলেও আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন। বৈজ্ঞানিক দিক বিবেচনা করলে সামনের পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে মানুষ-জন যেভাবে জীবনের ঝুকি নিয়ে গ্রামে-গঞ্জে গিয়েছেন আর ভারতীয় ভেরিয়েন্ট সনাক্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে আমি শঙ্কিত। তাই করোনার এই ভয়াবহতা থেকে একমাত্র আল্লাহই মুক্তি দিতে পারেন। শামীম ওসমান এসময় উপস্থিত পরিবহন শ্রমিকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, আমাদেরই উচিত ছিল আপনাদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে এই ক্ষুদ্র সহায়তাটুকু পৌছে দেয়া। আমি শহর, বন্দর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জে নেতাকর্মীদের বাড়ী বাড়ী সহায়তা পৌছে দিচ্ছি কারণ দলীয় লোকজন তাদের বাসা চিনে বলে। কিন্তু আপনাদের বাসা চিনি না বলেই এই কষ্ট দিয়েছি। আপনারা এসে আমাদের কৃতার্থ করেছেন। যদি আমার নেতাকর্মীরা আপনাদের বাড়ী চিনতো তবে আপনাদের এখানে আসতে হোতনা। তিনি আরো বলেন, সরকার তার সাধ্য অনুযায়ী করছে কিন্তু আমরা নিজেদের সচেতন করে তুলতে পারছিনা।পবিত্র কোরআনে বার বার মানুষের পাশে দাড়াঁনোর কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি এলাকার সামর্থ্যবানরা যদি তাদের সাধ্য অনুযায়ী অভাবগ্রস্থদের পাশে দাড়াঁয় তবে আমরা এই যুদ্ধে জয়ী হবোই।
এদিকে আর্থিক সহায়তা পাওয়া অনেক শ্রমিক এসময় নিজিদের দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে আবেগ্লাপুত হয়ে পরেন। তারা বলেন, গাড়ী চললে আমরা মজুরী পাই, পরিবার নিয়ে পেট চালাই। অনেকদিন ধরে গাড়ী বন্ধ, সামনে ঈদ। অনেকে শামীম ওসমানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।