টিকার মজুদ আছে মাত্র ৭,৮৬,০০০ ডোজ

226

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ এ মাসেই শেষ হবে প্রাপ্ত অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার টিকার মজুদ। দ্বিতীয় ডোজের জন্য ঘাটতির টিকার পরিমাণ ১৪ লাখ ডোজের বেশি। ঘাটতি টিকা যথাসময়ে না এলে কি হবে প্রথম ডোজ গ্রহণকারীদের, এ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন উৎস থেকে এনে এই ঘাটতি পূরণ করতে সরকার একাধিক দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এক ব্যক্তিকে একই টিকার দুই ডোজ নিতে হবে। অন্য টিকা গ্রহণ করার সুযোগ নেই। ফলে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণকারীরা এখন দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এবিষয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং বর্তমান উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, যারা প্রথম ডোজ অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন তাদেরকে একই টিকা দিতে হবে। অন্য টিকা তারা গ্রহণ করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে বৈজ্ঞানিকরা গবেষণা করছেন। যারা অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন তারা দ্বিতীয় ডোজে রাশিয়ার স্পুটনিক দিতে পারবেন কি না, তার ওপর বৈজ্ঞানিকরা গবেষণা করছেণ। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে সরকার আরো ২০ লাখ টিকা আনার চেষ্টা করছে। ৫] ডা. মুশতাক আশা করি আগামী এক মাসের মধ্যে অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার টিকা দেশে চলে আসবে। যদি এই টিকা যথাসময়ে না আসে, সেক্ষেত্রে এই টিকা গ্রহণকারীদের ভবিষ্যৎ কী হবে জানতে চাইলে, এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন,বৈজ্ঞানিক তথ্য যেভাবে বলবে সেভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এক্ষেত্রে অন্যভাবে কোন কিছু করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত দিবে। সেই আলোকে আমাদের এগুতে হবে বলে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. শামসুল হক বলেন, আশা করি, যারা অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন তারা একই টিকা তিন মাসের মধ্যেই নিতে পারবেন। তিন মাস পরেও দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন। তাতে কোনো সমস্যা নেই। দেশে ১১ই মে পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৩৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫২৩ জন। প্রথম ও দ্বিতীয় মিলে টিকা দেয়া হয়েছে ৯৪ লাখ ১৩ হাজার ৪৩৩ ডোজ।

অন্যদিকে অনলাইনে নিবন্ধনও ২রা মের পর থেকে বন্ধ রয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নিবন্ধন করেছেন ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন।