ভারতের মহারাষ্ট্রে ৬ ও কর্ণাটে ৬ জনের মৃত্যু ঘূর্ণিঝড় তাওকতের প্রভাবে

437

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ঘূর্ণিঝড় তাওকতের প্রভাবে ভারতের মহারাষ্ট্রে কমপক্ষে ছয়জন মারা গেছেন এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এটি এখন গুজরাটের দিকে প্রচন্ড বেগে এগিয়ে আসছে। সেখানে ঘূর্ণিঝড়টি মারাত্মকভাবে আঘাত হানতে পারে। ইতিমধ্যে রাজ্যটিতে তীব্র বাতাস বইতে শুরু করেছে এবং যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৭ মে) এ খবর প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঝড়টি আজ রাতে পোরবন্দর ও মহুভার মধ্যবর্তী গুজরাট উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি এখন মুম্বাই থেকে দূরে দিউয়ের দিকে এগিয়ে চলেছে। মহারাষ্ট্রে তাওকতের প্রভাবে কমপক্ষে ছয়জন মারা গেছেন এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি এখন ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হচ্ছে। আশপাশের অঞ্চলে অত্যন্ত শক্তিশালী বাতাস বইছে। গাছ এবং বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ফেলার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এটির প্রভাবে গুজরাটে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে আঘাত হানবে। তাওকতের প্রভাবে উপকূলীয় রাজ্য কর্ণাটকে ৮ জন মারা গেছেন। রাজ্য বিপর্যয় পরিচালন কর্তৃপক্ষের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কন্নড়, উদুপি, উত্তরা কন্নড়, কোডাগু, চিক্কামাগুরু, হাসান ও বেলাগাভি এই সাতটি জেলার ১২১ গ্রাম ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আজ মুম্বাইযতে ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১৪ কিলোমিটার বেগে আঘাত হেনেছে। প্রচণ্ড বাতাসের সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে শহরটির অনেক স্থান তলিয়ে গেছে। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তীব্র বাতাসের কারণে বান্দ্রা-ওয়ারলি সমুদ্র যোগাযোগটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এরই মধ্যে গুজরাটের দেড় লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে শুধু পোরবান্দার ও মাহুভা এলাকা থেকেই সরানো হয়েছে ২৫ হাজার মানুষকে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।