বন্দর প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ বন্দরে ভাড়াটিয়া এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্ঠার অভিযোগ উঠেছে বাড়ির মালিক জুলহাসের বিরুদ্ধে।
সোমবার(২৪ মে) রাতে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আদমপুর এলাকায় এঘটনা ঘটে।ভূক্তভোগী নারী লাল মনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার কমলাবাড়ি ইউনিয়ন এলাকার রাসেল মিয়ার স্ত্রী। তবে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধর্ষণের চেষ্ঠা ঐ নারীকে মোবাইল চোরের আখ্যা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
ভূক্তভোগী নারী জানান, আমি আমার ছোট ছেলেকে নিয়ে জিওধরা বাজারে কয়েকদিন যাবৎ বসবাস করে আসছি। কিন্তু জুলহাস মিয়ার আমাকে তার বাসায় থাকতে বলে এবং প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিলসহ ১১শ’ টাকা বাড়ি ভাড়া দিতে বলে। এর পরে বাড়ির মালিক জুলহাসের বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করি। এরপর থেকেই জুলহাস মিয়া আমাকে বিভিন্ন সময় উক্যক্ত করতে থাকে। গতকাল রাতে বৃষ্টির সময় জুলহাস মিয়া আমার রুমে প্রবেশ করে। তখন আমার ছোট ছেলে ঘুমিয়ে ছিলো, ঐ সুযোগে সে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্ঠা করলে আমার ছেলে ঘুম থেকে উঠে যায়। এ ঘটনা দেখে জুলহাস মিয়ার পায়ে জড়িয়ে ধরে আমার মা’কে ছেড়ে দিতে বললে তখন সে ছোট ছেলেটিকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। পরে চিৎকার শুনে বাড়ির মানুষ জড়ো হলে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এঘটনায় ভূক্তভোগী নারী বন্দর থানায় মামলা করবে বলে জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক করে এলাকাবাসী জানান, জুলহাস মিয়ার নামে অভিযোগের শেষ নেই। এর আগেও নারায়ণগঞ্জে ডিগবাবুর বাজারে এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্ঠা করে। এরপর তিনি অপর্কম করে যাচ্ছে, ভাড়াটিয়া মহিলাকেও তার বাসায় ধর্ষণের চেষ্ঠা করেছে। আমরা এলাকাবাসী এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।