রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ তোফায়েল আহমেদ আলমাছের মাছিমপুর গ্রামের বাড়িতে গত ২৮ মে শুক্রবার রাত পৌনে ৮টায় বিএনপির সমর্থিত সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট ও ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে। ১০০/১২০ সদস্যের একদল সন্ত্রাসী রাম দা, চাপাতি, শাবল, লোহার রড, এসএস পাইপ ও আগ্নেয়াস্ত্র সহ এ হামলা চালায়। হামলাকারীরা ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছের বড় ভাই রোমান মিয়ার বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নেয়।
এক পর্যায়ে বাড়ির লোকজনের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছ্ুঁটে আসলে সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলিবর্ষণ করতে করতে পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা ফিরে যাওয়ার সময় চেয়ারম্যান আলমাছের সমর্থক যুবলীগ নেতা মাছিমপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ও আশু মিয়ার বাড়িতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। হামলাকারীরা ভাংচুর চালিয়ে তাদের সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
উক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পিতা-পুত্র হত্যা, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, বিস্ফোরক, মারামারি, সন্ত্রাসী, নারী নির্যাতন সহ রূপগঞ্জ থানায় ২০/২২ টি মামলা রয়েছে। সন্ত্রাসীরা এতই প্রভাবশালী যে বিএনপি করেও অবাধে মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করেও কোন ফল পাচ্ছে না।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাত ৯টায় আলহাজ্ব মোঃ তোয়ায়েল আহমেদ আলমাছ চেয়ারম্যানের বাড়িতে রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) এইচ এম জসীদউদ্দিনের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২ টায় সন্ত্রাসীরা দলবদ্ধ হয়ে আবারো আলমাছের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের প্রতিরোধে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। এক পর্যায়ে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করতে করতে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ তোফায়েল আহমেদ আলমাছ বাদী হয়ে মাছিমপুর এলাকার মোহাম্মদ আলী (৩২), রিয়াজ (২৫), সেলিম (৩০), সবুজ (২৮), সোলমান (৩৫), রাজিব (৩০) সহ ২৫ জনকে আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, সন্ত্রাসীরা যে দলেরই হোক তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না। সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।