জান্নাতুল মাওয়াঃ র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র্যাব শুরু থেকে যে কোন ধরনের অপহরণ ও জিম্মি প্রতিরোধ এবং অপহরণ চক্রকে সনাক্ত, অপহৃত ভিকটিম উদ্ধারসহ অপহরণকারী ও মানব পাচারকারীদের গ্রেফতারে সার্বক্ষণিকভাবে অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব ১১ এর অভিযানে ০৪ জুন ২০২১ তারিখে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা হতে আর্ন্তজাতিক নারী পাচারকারী চক্রের ০২ সদস্য ১। মোঃ রুবেল সরকার @রাহুল (৩২), জেলা-কুমিল্লা, ২। মোছাঃ সোনিয়া (২৫),জেলা-খুলনা’দেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রফতাকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় গ্রেফতারকৃত আসামীরা একটি সংঘবদ্ধ আর্ন্তজাতিক নারী পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং তারা ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী সুন্দরী তরুনীদের বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের উদ্দেশ্যে পাচার করে। উক্ত সিন্ডিকেটের সদস্যরা পাচারকৃত নারীদের হোটেলে নিয়ে গৃহবন্দি করে রাখত। বিদেশে অবস্থানকালীন সময়ে এই সকল তরুণীদেরকে কোন অবস্থাতেই নিজের ইচ্ছায় হোটেল তথা বাইরে যেতে দেওয়া হত না। প্রাথমিক অবস্থায় তরুণীরা এসকল আসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হতে রাজি না হলে বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য জোরপূর্বক প্রয়োগ করা হত।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ রুবেল সরকার রাহুল ও তার স্ত্রী মোছাঃ সোনিয়ার সাথে রিফাদুল ইসলাম হƒদয় সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। এই মানব পাচারকারী চক্রের উপর দীর্ঘদিন যাবৎ র্যাব-১১ বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারী চালিয়ে গত ০৪ জুন ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মানব পাচারকারী চক্রের ২ জন’কে গ্রেফতার করে। উল্লেখিত ০২জন ডিএমপি ঢাকা জেলার হাতিরঝিল থানার মামলা নং ০৩ তারিখ ০১/০৬/২০২১ ধারা-২০১২সালের মানবপাচার প্রতিরোধ দমন আইন ০৭/০৮/১০/১১ এর এজাহারভুক্ত আসামী। এই সমস্ত মানব পাচারকারী চক্রের মূলোৎপাটন করার লক্ষ্যে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।