ভুয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা গ্রেফতার

289

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার (০৮ জুন) সন্ধ্যায় নির্মাণাধীন একটি স্টীল কম্পানিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকতা পরিচয়ে অভিযানকালে ভুয়া তিন কর্মকর্তাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বস্তল এলাকায় এ্যাম্পেয়ার স্টীল কম্পানিতে অভিযানকালে সন্দেহ হলে তাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। এসময় তাদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ও এক ক্যান বিয়ার উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার সকালে তাদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার পূর্ব জগন্নাথপুর গ্রামের জমিরউদ্দীন মন্ডলের ছেলে মুজাহিদুল ইসলাম মানিক, নাটোর জেলার নালপুর উপজেলার গন্ডবিল গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে সাইফুল ইসলাম সেন্টু, ডেমরার রামৈল গ্রামের জমির আলীর ছেলে কামরুজ্জামান ও ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থানার জাঙ্গালিয়া পাড়া গ্রামের মৃত হেলাল উদ্দিনের ছেলে মো. সরাফ মিয়া।

এলাকাবাসী জানান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকায় এ্যাম্পেয়ার স্টীল কম্পানিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে কম্পানির ভিতরে প্রবেশ করেন। এসময় ওই কম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন কাগজপত্র দেখতে চান। তাছাড়া বিষয়টি মীমাংসার জন্য ৫ লাখ টাকা দাবি করেন তারা। কর্মচারীরা বিষয়টি এ্যাম্পেয়ার স্টীল কম্পানির মালিক আবুল কালামকে অবগত করেন। তাদের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে কম্পানির লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়া হয়।

খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ- অঞ্চল) মো. বিল্লাল শেখ ও তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ মো. ইকবাল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভুয়া কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেন। এসময় তাদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ( ঢাকা মেট্রো- ১১-৭৫৪৬) ও গাড়ি থেকে এক ক্যান বিয়ার উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে এ্যাম্পেয়ার স্টীল কম্পানির কর্মচারী আলী আকবর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে কম্পানিতে সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদা দাবি ও মাদক আইনে দুটি মামলা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।