রূপগঞ্জে অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে মাদকদ্রব্য সহ ২৪ নারী-পুরুষ আটক

256

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ইউসুফগঞ্জের কাদিরারটেক এলাকার পূর্বাচল হোয়াইট হাউজ রেস্টুরেন্ট থেকে গতকাল ১৮ জুন শুক্রবার ভোর রাতে দেশী ও বিদেশী মাদকদ্রব্য সহ অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ জন নারী ও ১৩ জন পুরুষকে আটক করা হয়েছে। রূপগঞ্জ থানার এসআই মাহবুবুর রহমান ও হুমায়ুন কবির মোল্লা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেন। এ সময় দেশী-বিদেশী মদ, বিয়ার, জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন বরগুনা জেলার আলাউদ্দিন (৪০), সিয়াম (১৯), ঢাকা জেলার লাবলু (৩২), সোহেল (৩৮), ফরিদ হোসেন (৩৪), জাহিদুর রহমান (৪৬), মধুপুরের দাউদ মুরং (১৮), শেরপুর জেলার জসীম উদ্দিন (২৬), কুমিল্লা জেলার সালাম আহমেদ (২২), সাইফুল ইসলাম (৩৯), বরিশাল জেলার মুজিবর রহমান (৪০), ঝালকাঠি জেলার নুর আলম (২২), নারায়ণগঞ্জ জেলার আবির রায়হান (২৮),  মুন্সিগঞ্জ জেলার মোশারফ (২০)। এদের মধ্যে ৩ জন রেস্টুরেন্টের কর্মচারী। নৃত্যশিল্পী নোয়াখালী জেলার লাবনী (২১), লক্ষীপুরের নাজমা (১৯), ফরিদপুরের মুনিয়া আক্তার (১৮), নারায়ণগঞ্জের জেরিন আক্তার শাহিন (২৫), ঢাকা জেলার মায়া বেগম (২৫), রুনা আক্তার (২১), দাউদকান্দির নওরিন আক্তার (২০), সোনিয়া (১৮) দিনাজপুরের প্রিয়া আক্তার (২২), কালকিনি থানার ফারিহা আক্তার (১৯), দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের রুবিনা আক্তার এ্যানি (৪২)। এদের মধ্যে ৪ জন নৃত্যশিল্পী ও ৭ জন পতিতা রয়েছে। এছাড়া রেস্টুরেন্টের মালিক নজরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি এ এফ এম সায়েদ বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে রূপগঞ্জ থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রূপগঞ্জ থানার এসআই ইফাত আহমেদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।  তাদেরকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছত্রছায়ায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে পূর্বাচলের হোয়াইট হাউজ রেস্টুরেন্টে অবাধে মাদকদ্রব্য সেবন, মাদকদ্রব্য বিক্রয়, অশ্লীল নৃত্য,  অসামাজিক কাজ ও ডিজে পার্টির নামে রাতব্যাপী নানা অনুষ্ঠান চলে আসছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে পূর্বাচল হোয়াইট হাউজ রেস্টুরেন্ট পরিচালনাকারীদের কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের ভ‚মিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাকাবাসী। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসকে ম্যানেজ করে পূর্বাচল উপশহরের রেস্টুরেন্ট ব্যবসার আড়ালে ১৫/১৬ টি স্পটে অনুরূপ অনুষ্ঠান চলে আসছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসনের সাথে কথায় কাজে গড়মিল হলেই অভিযান চালানো হয়ে থাকে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।