ভেজাল ও দুর্নীতি প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিন-সুলতান মাহমুদ

168

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নারায়নগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজকে ভেজাল ও দুর্নীতি প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন সংগঠক ও সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ। জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়নগঞ্জ জেলা সভাপতি সুলতান মাহমুদ বলেন,“৬ মার্চ রোজ রোববার দুপুর ১২ টায় নারায়নগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)মোঃ জাহিদুল আলমের অফিসে জাতীয় ভোক্তা অধিকার দিবসের আলোচনা সভার দাওয়াত কার্ড দিতে গিয়ে দৃষ্টিগোচর হয় নারায়ণগঞ্জ সমাজ সেবার লুকচুরির কান্ড।বিশাল দুই ফাইল দেখতেছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)মোঃ জাহিদুল আলম কিন্তু ফাইলটি দুইটি ছিল গরীব অসহায়দের স্বাস্থ্য সেবার অনুদান। ফাইলছিল অগোছালো, ছিল না কোন টেগ সিস্টেম, সংযুক্ত ছিল না কোন তদন্তের নথি পত্র। একটি ২৬৯ জনের তালিকা, প্রতিজন পাবে ৫০,০০০(পঞ্চাশ হাজার) টাকা করে মোট ১,৩০,০০,০০০ (এক কোটি ত্রিশ লক্ষ) টাকা, আরেকটি ৪৭ জনের তালিকা, প্রতিজন পাবে ১০,০০০(দশ হাজার) টাকা করে মোট ৪,৭০,০০০(চার লক্ষ সত্তর হাজার) টাকা।”

সদ্য যোগদানকারী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের প্রশ্নের উত্তরে সমাজ সেবার অফিসার বলেন, “২০১৮ সাল থেকে তিনি এভাবে কাজ করে আসছেন। ডিসি মহোদয় মার্ক করে দিলেই তিনি অনুদানের চেক সই করে দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন ডিসি অফিস থেকে। আর এরই ধারা বাহিকতায় আজ দুই ফাইল নিয়ে এসে আটকে যায় এই কর্মকর্তা।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল আলম ফাইলে নোট লিখে সমস্ত কাগজপত্রের অনুসন্ধানের কপি সহকারে ফাইল উপস্থাপন করার জন্য বলেন।

জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়নগঞ্জ জেলা সভাপতি সুলতান মাহমুদ সমাজ সেবার অফিসারের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অফিসে আসেন, পরিচয় হবে কথা হবে।”

 

তাই ভেজাল ও দুর্নীতি প্রতিরোধ, নিত্য পণ্য সামগ্রী ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং সিন্ডিকেট প্রতিরোধসহ আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নজর দেওয়া উচিত হবে নারায়নগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজের প্রধান কাজ । কালোবাজারি মজুদদারি সিন্ডিকেটের কবলে পণ্যমূল্য যেভাবে ঊর্ধ্বগতির পথে তাতে জনজীবনে নাভিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে l প্রতিরোধ ব্যবস্থা না থাকলে রমজানের উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে । এমতাবস্থায় সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট সহকারে দুর্নীতির পরিধি বেড়ে যাবে।

সুলতান মাহমুদ  জেলা প্রশাসকের প্রতি জোরালো দাবি জানান যে, ভেজাল ও দুর্নীতি প্রতিরোধ,বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ, সিন্ডিকেট প্রতিরোধ এবং দুনীতিবাজ ও কালো বাজারিদের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করার ব্যবস্থা করা।তার জন্য প্রয়োজন প্রতিদিন পর্যাপ্য পরিমানে প্রতিটি থানা ও উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা।