নারায়ণগঞ্জের বন্দরে দুই সহোদর ভুয়া ডাক্তার আটক করেছে র‍্যাব-১১

200

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার চিড়াইপাড়া এলাকা থেকে মোঃ সোহাগ ও নূর মোহাম্মদ সুজন নামের দুই ভুয়া ডাক্তার কে আটক করেছে র‌্যাব-১১ । আটককৃত মোঃ সোহাগ ও নূর মোহাম্মদ সুজন সম্পর্কে সহোদর। এরা উপজেলার লাঙ্গলবন্দ চিড়াইপাড়া এলাকার মনির হোসেনের ছেলে। আটককৃতরা উপজেলার লাঙ্গলবন্দ চিড়াইপাড়া ব্রীজ সংলগ্ন মা মেডিক্যাল এন্ড ডক্টর চেম্বার প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। বুধবার র‌্যাব ১১ সিপিসি নারায়ণগঞ্জের কোম্পানির উপ পরিচালক স্কোয়াড্রন লীডার এ কে এম মনিরুল আলম প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,গ্রেফতারকৃত আসামিরা দুই ভাই। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তাদের আপন ছোট ভাই পলাতক আসামি ডাক্তার পরিচয় দেওয়া মোঃ সোহেল মাহমুদ খানের সহযোগী ও কম্পাউন্ডার হিসেবে পরিচয় দিয়ে তারা বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের জন্য রোগীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন এবং উক্ত ডাক্তারের পরামর্শ ক্রমে বিভিন্ন প্রকার ভ্যাকসিন ইঞ্জেক্ট করে বলে জানায়।পলাতক আসামি বিএমডিসি কর্তৃক অনুমোদিত কিংবা একাডেমিক সার্টিফিকেটধারী কোন রেজিস্টার্ড ডাক্তার নয়। সে একজন ভুয়া ডাক্তার। তাদের কারো মেডিকেল এবং মেডিসিন বিষয়ক শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন সার্টিফিকেট নেই। পরবর্তীতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সাংবাদিকতার পরিচয় পাওয়া গেলেও তাদের সাংবাদিকতার নূন্যতম যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও সাংবাদিকতাকে পুঁজি করে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের নিকট ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে প্রচারণা ও উৎসাহ দিয়ে থাকে। এছাড়া ড্রাগ লাইসেন্স ব্যতীত উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান ফার্মেসিতে বিভিন্ন প্রকার যৌন উত্তেজক ঔষধ এবং স্বল্পমূল্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করে তারা। মূলত এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে নিজের আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে থাকে। তারা আরো জানায় যে, পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ লোকচক্ষুর আড়ালে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে সুকৌশলে সাধারণ মানুষের সাথে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছে এ ছাড়াও সাংবাদিকতাকে পুঁজি করে তারা বিভিন্ন অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয় ও পলাতক আসামির বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।