বন্দরের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের ছেলের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যকে মারধরের অভিযোগ

192

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইউপি সদস্যকে পিস্তলের মুখে তুলে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে মাহমুদুর রহমান শুভ ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে। শুভ মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের ছেলে।

ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য হলেন শফুরউদ্দিন (৫৫)। তিনি ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। সোমবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাকে তুলে নিয়ে একটি পেপার মিলের পাশে মারধর করা হয়। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যদর্শীরা জানান, মালিকপরে সাথে চুক্তি করে শফুরউদ্দিন টোটাল ফ্যাশন গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসা করেন। এই ঝুট ব্যবসা নিয়ে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদ মাকসুদ হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভর দ্ব›দ্ব চলছিল। এর জের ধরে সোমবার সকালে পরিকল্পিতভাবে পূর্বে থেকে কারখানার ভেতর ওৎ পেতে থাকে শুভ, পুলিশের গলায় ছুরি চালানো মামালার আসামি কলোনীর আমিনুল, হত্যা মামলার আসামি হানিফা, অস্ত্র মামলার আসামি জরিফসহ ১০-১২ জনের একটি দল। এ সময় শফুরউদ্দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফ্যাক্টরির ভেতরে প্রবেশ করলেই তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে কারখানার ভেতর থেকে প্রাইভেটকার তুলে পাশ^বর্তী পরিত্যক্ত সোনালী পাল্প নিউজ পেপার মিলসে নিয়ে যায়। সেখানে লোহার রড, হকিষ্টিক ও পিস্তলের বাট দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়। এ সময় আহত শফুরউদ্দিনের চিৎকারে নুরুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আহত শফুরউদ্দিন মেম্বারের ছেলে জাহাঙ্গীর জানান, বন্দরের কামতাল এলাকায় অবস্থিত এসএইচকে নামের পোশাকের ষ্টিকার তৈরি লেভেল ফ্যাক্টরির ঝুট ছিনতাইয়ের ঘটনায় সংবাদ প্রকাশে প্তি হয়ে উঠেছে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুকসুদ হোসেনের ছেলে মাহমুদুর রহমান শুভ বাহিনী। এর জের ধরে সোমবার পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আমার বাবাকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে হত্যার চেষ্টা করে তারা। তাকে এর আগেও ২ লাখ টাকা চাঁদা দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার পর পর কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান জানান, ঘটনার খবর পেয়ে শফুরউদ্দিন মেম্বারের বাড়িতে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।