সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ খালগুলো দখল হয়ে যাওয়ার গত কয়েক বছরের মধ্যে ওই এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে সোনারগাঁবাসী চরম জনদুর্ভোগে পরেছে।জরুরি ভিত্তিতে দখলকৃত খালগুলো পুনরুদ্ধার করে খননের ব্যাবস্থা করার দাবি জানিয়েছে তারা।এছাড়া অবৈধ খাল দখলদারদের বিষয়ে কোন ব্যাবস্থা না নেয়ায় এলাকাবাসী স্থানীয় প্রশাসকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সোনারগাঁয়ে খাল দখলে মহোৎসব চললেও প্রসাসনের নিরব ভুমিকা স্থানীয়দের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।বিভিন্ন স্থানে যেসব খাল রয়েছে এর বেশিরভাগ খাল স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা দখল করে নিয়েছেন। অবৈধ দখলে নিয়ে বালু ভরাট করে গড়ে তুলছে বাড়ী বা বাড়িতে যাতায়েতের জন্যে রাস্তা ও দোকানপাট। ফলে ওই এলাকার পানি নিষ্কাসন বন্ধ রয়েছে ১ বছর ধরে। অনেক স্থানে বছরের বেশিরভাগ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন আবাদী জমি ও ফল ফলাদি গাছপালা জোয়ারভাটার পানি না আশায় বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আবাদী জমি ও ফল ফলাদি গাছের ও জন দুর্ভোগ সহ খালের পানি বিনষ্ট এবং এসিড মশার লাভা জন্ম নিচ্ছে। ফলে এ পানি ব্যাবহার অনুপুযোগী হয়ে পরেছে।এ পানিতে গবাদি পশু গোসল করানোসহ কৃষি জমিতে ব্যাবহার করা জাচ্ছে না।
অভিযোগ উঠেছে,স্থানীও ভূমি অফিসের কিছু অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে স্থানীয় প্রভাবশালী ভুমিদস্যু রাজনৈতিক ব্যাক্তি ও দালালরা আহাত করে প্রথমে খালের তীরবর্তী স্থানগুলো দখল করে নিচ্ছেন। পরে বালু ভরাট করে পুরো খালই দখল করে নিচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সোনারগাঁ পৌরসভা ঐতিহাসিক পঙ্খীরাজ খাল উদ্ধবগঞ্জ হতে ভট্টপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটি দুপার্শে অবৈধ স্থাপনা নিরমান করে। ঐতিহাসিক পঙ্খিরাজ খাল দখল করে ভট্টপুর গ্রামের আনিসুল হক খান মাটি ভরাট করে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে।ফলে পানি নিষ্কাসনের বাধা সৃষ্টি হয়।
সোনারগাঁ পৌর এলাকার ব্যাবসায়ি আব্দুর রাহিম জানান,প্রতিটি বাড়িতে নৌকায় যাওয়ার জন্যে খাল ব্যবহার করা যেতো। বর্তমানে সবগুলো খালই প্রভাবসালিরা দখল করে নিয়েছে।এ খালগুলোর অস্তিত্ত পর্যন্ত রাখেনি প্রভাবশালীরা। খালগুলো উদ্ধার করার জন্য প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীরা জোর দাবি জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত খাল দখলকারী আবদুল মালেক জানান,খালের জমি ছেড়ে আমি আমার বাড়ী নির্মাণ করেছি।
সোনারগাঁ উপজেলা নিরবাহি কর্মকর্তা তৌহিদ এলাহী জানান, দখলকৃত খালগুলো ম্যাপ দেখে দেখে অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের গ্রামবাসী চেয়ারম্যান আলআমিন সরকারের সাথে তারা দখলকৃত খালগুলো পুনরুদ্ধার করে খননের ব্যাবস্থা করার জোর দাবি জানান, পরে তিনি এলাকাবাসীকে খালগুলো পুনরুদ্ধারের আশ্বাস দেন।
এলাকাবাসীর দাবী, পঙ্খিরাজ খাল দখলমুক্ত করে ভট্টপুর গ্রামের আনিছুল হক খান মাটি ভরাট করে দোকান ভেঙ্গে কালভাট করার দাবী জানান।
আনিছুল হকের সাথে জগাজক করলে তিনি জানান, সরকারি খাল অনেকে দখল করে রেখেছে। আমিও একটু দখল করে রেখেছি।প্রসাশ্ন বললে আমি দোকান সরিয়ে দেব।
সোনারগাঁ পৌরসভার সচিব সামসুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রকৌশলী তানভীরের স্থে যোগাযোগ করতে হবে। সোনারগাঁ পৌরসভার কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মধু বলেন, সিদিউলে যা কাজ আছে তাই হবে।