নড়াগাতিতে পিতা-পুত্রের রমরমা ইয়াবা বানিজ্য!

271

কালিয়া( নড়াইল) প্রতিনিধিঃ নড়াইলে কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার সরসপুর গ্রামে ইয়াবা চোরাচালানের শীর্ষ গড ফাদার মোঃ আজিজুল হক শরীফের ছেলে রবিউল ইসলাম ওরফে সাদ্দাম শরীফ ও তার পিতা আজিজুল হক শরীফ। নিজ বাড়িতে বসে পিতা-পুত্র বিক্রি করছে এই নিষিদ্ধ ইয়াবা।

অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে অনেক তথ্য,জানা যায় মোঃ আজিজুল হক শরীফ বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশনের কালিয়া উপজেলা কমিটির সভাপতি মর্মে একটা কমিটি অনুমোদন আনে। সেই কমিটির আড়ালে সে ও তার ছেলে রবিউল ইসলাম ওরফে সাদ্দামকে দিয়ে ইয়াবা ব্যবসা করায়। যেহেতু মানবাধিকার সংগঠনের সাইনবোর্ডের  আড়ালে ইয়াবা ব্যাবসা করলে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ব্যাবসা করা যাবে এই ভেবে। ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি সোমবার র‍্যাবের মাদক বিরোধী অভিযানে ১৫০ পিচ ইয়াবাসহ আজিজুল হক শরীফের বাড়ির সামনে থেকে তার পুত্র সাদ্দামকে আটক করে র‍্যাব- ৬ ( স্পেশাল কোম্পানির) খুলনার একটি অভিযানিক দল। দেড়মাস কারাবন্দী  শেষে জামিনে বেরিয়ে আবার শুরু করে পিতা পুত্রের রমরমা মাদক ব্যাবসা। তার কিছুদিন পর নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা ( ডিবির) অভিযান পরিচালনা করে কিন্তু সাদ্দাম দৌড়ে অল্পের জন্য রক্ষা পেলে ও তার সহযোগি একজন ১৪০ পিচ ইয়াবাসহ আটক হয়। কিছুদিন নিরব থাকার পরে আবার নিজ বাড়িতে বসে ইয়াবা বিক্রি শুরু করে দেন সাদ্দাম শরীফ। আর  তার পিতা আজিজুল হক শরীফ দেয় পাহাড়া।বাজারে পুলিশ দেখলেই পুত্রকে সতর্ক করে দেয় আজিজুল।

অনুসন্ধানে আরও বেড়িয়ে আসে, টেকনাফ থেকে আসে ইয়াবার বড় বড় চালান।টেকনাফ হয়ে ঢাকায় আসে ইয়াবার চালান সেখান থেকে রিসিভ করে নিয়ে আসে পুত্র রবিউল ইসলাম সাদ্দাম।পরে নড়াইল,মোল্লাহাট,গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করে এই নিষিদ্ধ ইয়াবা। স্কুল কলেজের ছেলেদের হাতে চলে যাচ্ছে সাদ্দামের ইয়াবা।ধংস হচ্ছে যুব সমাজ।ইয়াবা বিক্রির টাকায় নির্মান করছে আলিশান বাড়ি। এই মাদক ব্যাবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দাবী জানান এলাকার সচেতন মানুষ।