আ’লীগ নেতা মজিবুর ছোট বোনের ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে

162

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য মজিবুর গং ৪৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাত করার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছে তারই আপন ছোট বোন ফাহমিদা শারমিন খান। শুধু তাই নয় পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বোনদের জমিও আত্মসাৎ করেছে মজিবুর ও তার ভাই জুয়েল। ফারমিদা আরও অভিযোগ করে, মজিবুর ও জুয়েল কোন ব্যবসা বা চাকরী করে না। তাদের আয়ের একমাত্র উৎস এলাকায় চাঁদাবাজি, ভূমি দখল এবং বিভিন্ন মানুষের থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা আত্মসাত করা। এই দুই চাঁদাবাজ-ভূমিদস্যুদের ভয়ে এলাকাবাসী আতঙ্কিত এবং ভুক্তভোগী অনেকে মুখ খোলা থেকে পিছু পা হয়ে আছে।

ফারমিদা শারমিন খান বলে, ৪ বছর আগে তার স্বামী আতিকুর রহমান খান আব্বাসের মালিকাধানী মেসার্স জুয়েল স্টিল রি-রোলিং মিল-এ এম.এস. স্ক্রাব বাবদ ৮৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকার মাল নেয় মজিবুর গং। দেড় মাসে ৪২ লাখ টাকা প্রদান করলেও বাকি ৪৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা না দিয়ে উল্টো  বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে আসছে। মজিবুর ফতুল্লার মধ্য সস্তাপুর হাজী লাল চান মিয়ার ছেলে। মজিবুর ও তার ছোট ভাইয়ের নানা অপকর্ম তুলে ধরে ১২ মে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তাদেরই ছোট বোন ফাহমিদা শারমিন খান।

কিন্তু ১২ মে ফেসবুকে পোস্ট (স্টাটাস) দেয়ার কারণে মজিবুর রহমান ফাহমিদা শারমিন এবং তার স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ গুম-হত্যা করার হুমকি প্রদান করেন। যার ফলে তারা স্বামী-স্ত্রী জীবনের নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে ১৩ মে ফাহমিদা শারমিন খান আরেকটি পোস্ট দেন ফেসবুকে। সেখানে  তিনি লিখেন, আওয়ামীলীগের নামধানী নেতা মুজিবুর-জুয়েল দুভাই কোনো ব্যবসা করেন না, না করেন চাকুরী। তাদের আয়ের একমাত্র উৎস এলাকায় চাঁদাবাজি, ভূমি দখল এবং বিভিন্ন মানুষের থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা আত্মসাত করা। তার আপন আরেক ছোট বোন থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর সে পাওনা টাকা চাইতে গেলে হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এসব ঘটনার মূল হোতা মোঃ মুজিবুরের শশুর আরব আলীকে আমার বড় মেয়ে ১ মাস আগে সব ঘটনা এবং আমার স্বামীর ক্যান্সারের কথা জানিয়ে শত আকুতি করে সেই পাওনা টাকা ফেরত চাইলে মুজিবুর তার শশুরকে অবজ্ঞা করে টাকা ফেরতের কথা অস্বীকার করে।