‘‘মাবিয়া হত্যা’’ মামলার প্রধান আসামী আউয়ালসহ ৩ জন গ্রেফতার

169

মোঃ মোক্তার হোসেনঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দরে কাঁঠাল পাড়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর বৃদ্ধা ‘‘মাবিয়া হত্যা’’ মামলার প্রধান আসামী আউয়াল সহ মোট ৩ জন আসামী র‌্যাব-১১ কর্তৃক গ্রেফতার করেছে।

র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন ও আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া যে কোন চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য র‌্যাব ছায়া তদন্ত করে আসছে।

গত ১৭ই জুন ২০২২ তারিখে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন আইসতলা কলাবাগ এলাকায় গাছ থেকে কাঁঠাল পাড়া নিয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক বৃদ্ধাকে পিটিয়ে মারার ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মেয়ে বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৩১, তারিখ-১৮/০৬/২০২২ইং। ঘটনাটি স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয় যা এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ সহ চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র‌্যাব-১১, সিপিসি-১ এর একটি গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৪ জুন ২০২২ তারিখ র‌্যাব-১১, সিপিসি-১ এর অভিযানে চাঞ্চল্যকর বৃদ্ধা মাবিয়া হত্যা মামলার প্রধান তিন আসামী ১। আব্দুল আউয়াল, পিতা-মৃত হাসান আলী, ২। মির্জা (২৫) এবং নুরনবী (২৩), উভয় পিতা-আব্দুল আওয়াল, সর্ব সাং-আইজতলা (কলাবাগ, কলাগাছিয়া), থানা-বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ’দেরকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন বন্দেরা এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

প্রাথমিক অনুসন্ধান ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ভিকটিম তার গাছের কাঁঠাল পাড়তে গেলে বিবাদীরা তাকে কাঁঠাল পাড়তে বাধা দেয়। কিন্তু ভিকটিম তার নিজ গাছের কাঁঠাল পেড়ে নিয়ে আসলে বিবাদীরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং পরস্পর যোগসাজশে তাকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। পিটানোর একপর্যায়ে ভিকটিম মাথায় লাঠি দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। উক্ত হত্যাকান্ডটি স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে চালিয়ে নেওয়ার অপকৌশল হিসেবে বিবাদীদের ভিতরে একজন স্থানীয় মসজিদের মাইকে বৃদ্ধার স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘোষণা দেয়।

উক্ত হত্যা মামলার সাথে জড়িত অপর আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।